ইসমাইল হোসেন, সরিষাবাড়ী(জামালপুর) প্রতিনিধিঃ দিনদিন মানুষ বিজ্ঞান প্রযুক্তিটাকে যতই হাতের মুঠোয় পাচ্ছে। ততই যেন কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণকর কাজেই বেশী ব্যবহার করছে এবং উৎসাহী হয়ে উঠছে নতুনত্বের নেশায়। তার বাস্তবিক প্রমাণ হচ্ছে স্মার্টফোনের লুডু নামে অ্যাপসটি। আমরা জানি লুডু একটি জনপ্রিয় খেলা। তাই এই খেলাটির লোভ অনেকেই সামলাতে পারেনা।
বিশেষ করে সাপলুডু খেলাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। একসময় জনপ্রিয় এই খেলাটি পরিবারপরিজন নিয়ে অবসর সময় কাটানোর জন্য অনেকেই খেলতো বলে জানা যায়। কিন্তু এখন দেখি এই খেলাটি হয়ে গেছে জুয়া খেলার জমজমাট আসর। আজকাল লক্ষ্য করলে দেখা যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় শহর তথা প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠা মোড়গুলোতে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, সিএনজি ও অটোরিকশা ষ্টেশনগুলোতে গ্রুপ বেঁধে খেলছে লুডু। যেখানে বিনিময় হচ্ছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা।
কিন্তু প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন থেকে নেয়া হচ্ছে না কোন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা। মনে হচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে তারা অজ্ঞ নতুবা মনে করছে এটি বিনোদন তথা অবসরের সময় কাটানোর একটি মাধ্যম।কিন্তু বাস্তবিক ভাবে দেখা যাচ্ছে এটি বিনোদন নয়। ধ্বংশের মহাকাল শনি। ২১ মোড়ের শিহাব নামে এক অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি দেখেছি অনেকেই দিনে ৫ থেকে ৭ শ টাকা ইনকাম করে।কিন্তু জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে বাড়ী ফিরে রিক্তহাতে। বউ তথা পোলাপানের জন্য ১কেজি চাউল কিম্বা ঔষধ কিনে নিয়ে যাবে। সেটাও পারে না। তাই মোবাইলের এই লুডু নামে জুয়া খেলাটি অবিলম্বেই বন্ধ করা উচিত। তা না হলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ।
নষ্ট হয়ে যাবে অনেকের সোনার সংসার। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সরিষাবাড়ীর সর্বত্র এইচিত্র। তবে বিশেষ করে তারাকান্দি মোড়,২১শে মোড়, বয়ড়া ব্রীজপাড় মোড়, আরামনগর বাজার চা পট্টী, সরিষাবাড়ী রেলষ্টেশন চত্বর, বাসষ্ট্যান্ড,পপুলার মোড় ও ভাটারা বাজার অটোরিকশা ষ্ট্যান্ড উল্লেখ, যোগ্য বলে তথ্যানুসন্ধানে উঠে আসে। জানা গেছে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে অনেক অঞ্চলেই প্রতিনিয়ত হচ্ছে ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি, কাটাকাটি। হচ্ছে সামাজিক ভাবে বিচার শালিস। তাই অন্তরালে গুণীমহল বলছে। যদি এখনি এই জুয়া খেলার প্রবণতা বন্ধ করা না যায়। তাহলে সমাজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তীক্ষ্ণ নিরাপত্তা নিয়েও।