ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র প্রতিবেদক, জনগণের কন্ঠ ঃ কালের পরিক্রমায় অন্যান্য পণ্য ও বস্তুর মত হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ শিল্পের নিপুণ কারুকার্য্য। একসময় যে গ্রামগঞ্জের মানুষগুলো তাদের সাংসারিক কাজকর্মের প্রয়োজনীয়তা মিটাতো বাঁশের তৈরী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দিয়ে।
আজ সেইসব পণ্যসামগ্রী তৈরী হচ্ছে অভিনব আধুনিক প্লাষ্টিকের বেতি দিয়ে। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি শক্ত ও মজবুত। তাই বেতি দিয়ে নানান রকম আকর্ষণীয় পণ্য তৈরী করা যায় বলে এই অনুপম কারুকার্যটি দেশের অন্যান্য এলাকার মত চালু করার লক্ষ্যে জামালপুরের তিতপল্লা ইউনিয়নের ১২ নং ওয়ার্ডের বলরামপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম প্রশিক্ষণ নেন ঢাকা থেকে।
জানা যায়, দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ বাঁশের পরিবর্তে প্লাষ্টিকের বেতি দিয়ে তৈরী করছেন তিনি ঘরের সিলিং, ধান রাখার ডুল, মাচার বেড়া, শাকসবজি ও ফুলবাগানের বেড়া, খাট কিম্বা চকির ধাড়ি, মাছ রাখার খালোই, এবং মাছ ধরার পলো ইত্যাদি বলে জানান তিনি।

ছবি:- প্রতিনিধি
প্রায় ৫-৬ কালারের বেতি রয়েছে। যে কোন আইটেম তৈরী করে তৈরিকৃত জিনিসটি ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেন বলে জানান কারুশিল্পী শফিকুল ইসলাম। দিনেদিনে তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এবারের বন্যায় তার ভালো ব্যবসা হয়েছে মাছ ধরার পলো ও খালোই বিক্রির মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেশি বিক্রি করেছি। বাঁশের কারুকাজ প্লাষ্টিকের বেতি দিয়ে তৈরী করছেন কেন? শফিকুলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাঁশের সংকট, পণ্য তৈরী করার মত বাঁশ পাওয়া যায়না। যাও পাওয়া যায়, বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে আনাসহ যে খরচা হয়। তা দিয়ে আমাদের পোষে না।
তাই প্লাষ্টিকের বেতি দিয়ে বাঁশের তৈরী সকল পণ্য তৈরী করছি। তাতে ক্রেতা বিক্রেতা দুজনেই খুশি এবং লাভবান। কারণ প্লাষ্টিকের বেতির তৈরী পণ্য দেখতে সুন্দর, মজবুত এবং টিকসই বলে জানান এই কারুকাজ শিল্পী। বর্তমানে সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাব মার্কেটে তার শিল্পকার্য্য ও ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানান তিনি।