ব্রেকিং নিউজ

সরিষাবাড়ীতে হাতেনাতে গরুচোর ধরেও বিচার হলো না চোরের, এলাকাবাসী আতঙ্কে…

ইসমাইল হোসেন সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ভাটারা ইউনিয়নের মহিষা বাদুড়িয়া গ্রামের মৃত মাহরাজের ছেলে আব্দুল বারেকের বাড়ী থেকে গত ২৮ জুলাই রাতে ১টি বকনা বাছুর চুরি হয় বলে জানা গেছে। চুরি হওয়া গরুটি আব্দুল বারেক ও তার পরিবার এলাকাজুড়ে খোঁজাখুঁজি করে।

কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই ২৯ জুলাই রোজ সোমবার ধনবাড়ী গরুর হাটে যান আব্দুল বারেক ও তার ছেলে গরুটি খোঁজতে। হাটের মধ্যে খোঁজতে খোঁজতে হঠাৎ চোখে পড়ে তাদের বকনা বাছুরটি। তারা দেখতে পান তাদের ভাটারা ইউনিয়নের চোউখাঁ গ্রামের মৃত তজির শেখের ছেলে আব্দুল খালেক শেখ (৬০) গরুটি বিক্রি করছে অন্যের কাছে।

তারা চোর ও গরু হাতেনাতে ধরে হাট কমিটির সহায়তা নিয়ে চোরকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়। এই নিয়ে এলাকা তথা আশপাশ গ্রামের জনতার ঢল পড়ে চোরকে দেখার জন্য। রাত ১০টায় চোরের বিচার বসে বারেকের বাড়ীতে। বিচারে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি থাকার কারণে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতিকুর রহমান দুলাল ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনিছুর রহমান উপস্থিত থেকে বিচার কার্য শুরু করেন। বিচারে চোর তার দোষ শিকার করলেও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য্য পিছিয়ে নেয়ার প্রস্তাব আসে।

কিন্তু উৎসুক জনতা চোরকে কার জিম্মায় রাখা হবে সেই প্রশ্ন তুললে কেউ চোরের জিম্মাদার হতে চান না। এক পর্যায় সরিষাবাড়ী থানার ওসি কে ফোন দিলে তিনি তৎক্ষণাৎ এস আই আমিনুল ইসলামকে পাঠান কয়েকজন কনস্টেবল দিয়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন এবং বিচারকার্য্য সম্পর্কে অবগত হন। এস আই আমিনুল চোরকে আইনের আওতায় সোর্পদ না করে চোরের ছেলে লাভলুর কাছে জিম্মায় রেখে একটি মুসলেকা নিয়ে চলে আসেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এলাকাবাসী বলছেন,হাতেনাতে চোর ধরার পরেও চোরের বিচার হলো না। এটা এলাকাবাসীর জন্য আতঙ্কের। এবং চোরকে প্রশ্রয় দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

Leave a Reply