বাংলাদেশের ১৪তম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে আজ অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। কিন্তু এই অভিষেকটা মোটেই সুখকর হলোনা তামিমের। ব্যাট হাতে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর ম্যাচও হারে তার দল।
মাত্র ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সাব্বির রহমান এবং মুশফিকুর রহীমের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। এই দুজনে পঞ্চম উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়ে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাব্বির ৬০ রান তুলে ফিরে গেলে আবারও হারের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৯১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালের দলকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম মনে করেন সাব্বির বাজে সময়ে আউট হয়েছে। তিনি শেষ পর্যন্ত থাকলে শেষ ১০ ওভারে ৬০/৭০ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল বলেও বিশ্বাস এই বাঁহাতি ওপেনারের।
‘শেষ ১০ ওভারে আমরা ৬০/৭০ রান তাড়া করতে পারতাম। আমরা এই সুযোগটি নিতে পারিনি। মুশফিক এবং সাব্বিরের পার্টনারশিপটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাব্বির ভুল সময়ে আউট হয়ে গেছে।’
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৩১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১.৪ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২২৩ রানে। তামিম মনে করেন ব্যাটসম্যানরা থাকলে ১৫/২০ রান যোগ করতে পারতো তাঁর দল। মাঝের দিকে ম্যাচে ফেরার কৃতিত্ব মুশফিক-সাব্বিরকে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘একসময় আমরা দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়েছি, মুশি এবং সাব্বির ব্যাট করছিলো। এই সময় আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। রান রেট একটা ইস্যু ছিল। যদি শেষের দিকে দেখেন, ৪১ ওভারে আমরা অল আউট হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের স্কোর ছিল ২২০-২২৫। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি টিকে থাকতো আমরা আরও ১৫/২০ রান যোগ করতে পারতাম।’
এমন একটা ম্যাচের পর ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টেশনে তামিম বলেন, ” বিশ্বকাপ থেকেই আমি রান করছিনা৷ আজ আমাদের বোলিংয়ের শুরুটা একদম ভালো হয়নি কিন্তু তারপরেও শেষদিকে বোলাররা ভালোভাবেই ম্যাচে কামব্যাক করেছে। একসময় মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা ৩৫০-৬০ করে ফেলবে কিন্তু বোলাররা ভালো বল করে তাদের ৩১৪ রানেই বেধে ফেলে।’
পরের ম্যাচে ঘুরে দাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে তামিম বলেন, ” সিরিজের এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আমরা এখনো সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমি যদি রানে ফিরি আর সাথে অন্য কেউ যদি রান করে তাহলে পরের ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারবো’।
