ভাগ্য কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায় তা কেউ বলতে পারেনা, অনেক সফল একজন ব্যক্তিও যেমন ব্যর্থতায় নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে, তেমনি সাধারণ একজন মানুষও হয়ে উঠতে পারে বিখ্যাত একজন। নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ গ্যারি স্টিডের গল্পটাও তেমন।
শক্তিশালী দল নিয়েই বিশ্বকাপে পা রেখেছিল নিউজিল্যান্ড, তবে দলটি ফাইনাল খেলবে এমন বাজি ধরার লোক ছিলো খুবই কম, প্রথম ৬ ম্যাচেই ৫ জয়ে সেমির কাছাকাছি চলে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোলারদের পাশাপাশি উইলিয়ামসন, টেলর, গ্র্যান্ডহোম, নিশামরাই পারফর্ম করেছেন শুধুমাত্র। ব্যাট হাতে সেরা তাদের ব্যর্থতার পরও দূর্দান্ত বোলিং, ফিল্ডিংয়েই ফাইনাল পর্যন্ত আসা দলটির সফলতার পেছনের কারিগড় বলা যায় হেডকোচ গ্যারি স্টিডকেও। শিরোপা প্রত্যাশী দল না হয়েও ফাইনালে চলে আসায় কোচের কৃতিত্বও অনেক।
কথাবার্তায় ও আচরণে ভদ্র কিউইরা সত্যও অকপটে স্বীকার করতে জানেন, এমনটাই প্রমাণ করলেন কিউই কোচ গ্যারি স্টিড। সংবাদ সম্মেলনে নিজ থেকেই বলে দিলেন ৩০ বছর আগে লর্ডসের মাঠকর্মী ছিলেন তিনি। সেই লর্ডসেই নিউজিল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার স্বপ্ন দেখছেন এখন।
কিউই কোচ বলেন-১৯৯০ সালে এমসিসির (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব, লর্ডসের মালিক ক্লাব) স্টাফ ছিলাম আমি। গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবেও কাজ করেছি।’
নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রীড়া সাংবাদিক এ্যান্ড্রুও জানালেন, হ্যাঁ ১৯৯০ সালে এমসিসির হয়ে কাজ করতে এসেছিলেন গ্যারি স্টিড। সে সময় গ্যারি ছিলেন শুধুই এমসিসির স্টাফ। লর্ডসের দরজা-জানালা পরিস্কারের কাজও করেছেন।
সময়ের বিবর্তনে ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ জাতীয় দলের সফল কোচ গ্যারি। লর্ডসের মাঠকর্মী থেকে এখন লর্ডসে কোচ হিসেবে বিশ্বজয়ের প্রহর গুণছেন। আগামীকালের ফাইনাল নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলে কিংবা না হলেও কোচ গ্যারি স্টিড নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে সফলতার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবেন।
