মুফিজুর রহমান নাহিদ ,সিলেট প্রতিনিধিঃবদলে যাই, বদলে দেই” গাছবাড়ী সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটি ” নামে গাছবাড়ি অঞ্চলে একটি সংস্থার যাত্রা শুরু হয়েছে।এই সংস্থা মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্যে হল সামাজিক কুসংস্কার দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরি করা।যেমন ইফতারি,নাইয়রি,যৌতুক,অতিরিক্ত দেনমোহর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা।
“বদলে যাই, বদলে দেই” এই স্লোগান ই সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটির মূল মন্ত্র। আর এই সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রথমেই গাছবাড়ি আইডিয়্যাল ডিগ্রি কলেজে গাছবাড়ী সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটির আয়োজনে আজ দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটে অত্র কলেজের হল রোমে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি গাছবাড়ি সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটির সভাপতি বুরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত সংস্থার সহ কোষাধক্ষ রাহেল উদ্দিনের পরিচালনায় কোষাধক্ষ মোঃকাওছার আহমদ এর স্বাগত বক্তব্যে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর গাছবাড়ি অঞ্চলের ঐতিয্যবাহি বিদ্যাপীঠ গাছবাড়ি আইডিয়্যাল কলেজের সুনামধন্য প্রিন্সিপ্যাল জনাব,আব্দুল মতিন,বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন গাছবাড়ি আইডিয়্যাল ডিগ্রি কলেজের বাংলার সহঃঅধ্যাপক জনাব,মঈন উদ্দিন,জীববিজ্ঞানের সহঃ অধ্যাপক মোহাম্মদ রেনুমিয়া, সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম,বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড সুনামগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা ইকভাল আহমেদ,বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৌদিআরব প্রবাসি মোহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন, সাংবাদিক জয়নাল আবদীন, সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সহ মানাবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও কানাইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মুফিজুর রহমান নাহিদ, বিশিষ্ট রাজনৈতিবীদ ও সমাজ সেবক আবু বক্কর,কানাইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য মারুফ আহমেদ,সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক মাছনুন আমিন সাংঘাঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান প্রচার সম্পাদক আব্দুল বাসিত।
সেমিনারে গাছবাড়ি আইডিয়্যাল কলেজের প্রায়৪৫০-৫০০ছাত্র-ছাত্রী সহ উক্ত সংস্থার সদস্য বর্গ উপস্হিত ছিলেন।এসময় বক্তরা বলেন, কতোই না কুসংস্কার আমাদের সমাজে রয়েছে যা একটা মেয়ের বাবা মাকে তিল তিল করে মৃত্যু পথযাত্রীর দিকে ঠেনে নেয়। আমরা একটি নোংরা সংস্কৃতির সমাজে বসবাস করছি। যে সমাজে আমরা সুদু মুখে বলি যৌতুক একটি অপরাধ, কিন্তু যৌতুকের চেয়ে বেশি অর্থ অপচয় করতে হচ্ছে এইসব কুসংস্কার এর জন্য।উদাহরণ হিসাবে বক্তারা বলেন, যারা মেয়ে পক্ষের তাদের অনেক অর্থ লাগে মেয়ে বিয়ে দিতে যেমন বিয়ের সময় ৩/৪ লক্ষ্য টাকার ফার্নিচার ১ লক্ষ্য টাকার মত রুমের আসবাব পত্র।
বিয়ের খানা খরচ ২ লক্ষাধিক, বিয়ের পর মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন কে দাওয়াত খাওয়ানোর সঙ্গে নিকটজনদের জন্য কাপড় দেয়া। এরই মধ্যে আবার ইফতারি ও আম কাঠাল নামের এক কুপ্রথা অন্যতম। এ ব্যাপারে সকলকে এই কুপ্রথা থেকে বেরিয়ে আশার জন্য প্রয়োজন পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তাগণ।সামাজিক কুসংস্কার দূর করার জন্য সচেতনতা তৈরি করা।যেমন ইফতারি,নাইয়রি,যৌতুক,অতিরিক্ত দেনমোহর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা।”তাই নিজকেই বদলে যাই,অন্যকে উক্ত বিষয়ে বুঝানোর চেষ্টা করি। তাই আসুন সবাই মিলে সামাজিক কুসংস্কার দূর কারার মাধ্যমে সমাজটাকে বদলে দেই।
