নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশি সাক্ষাত হয়নি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের। বছর পাঁচেক আগে দুই দেশ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৪ সালের এক মার্চ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে দুই দেশের প্রথম সাক্ষাতটি লজ্জা দিয়েছিল বাংলাদেশকে। নবীন ক্রিকেট দেশ আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩২ রানে।
এরপর গত চার বছরে আরো ৬ বার দেখা হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের। সেখানে জয়ের পাল্লা টাইগারদেরই বেশি। তবে এক চেটিয়ে নয়। মোট সাতবারের সাক্ষাতে বাংলাদেশের জয় চারটি, তিনটি আফগানিস্তানের।
গত বছর এশিয়া কাপে দুইবারের মুখোমুখিতে একটি করে জয় দুই দেশের। তবে আফগানিস্তানের আত্মতুষ্টি একটু বেশিই থাকতে পারে। কারণ, তারা জিতেছিল প্রথম ম্যাচে ১৩৬ রানের বিশাল ব্যাবধানে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩ রানে। অতীতের ম্যাচগুলো দুই দলের লড়াইয়ে কাউকেই একক ফেবারিট বলছে না; কিন্তু বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো বলে ম্যাচের ভাগ্য লাল-সবুজ জার্সির দিকেই ঝুঁকবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
গত এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের বড় জয় এসেছিল রশিদ খানের দুর্দান্ত নৌপূণ্যে। ৩২ বলে হার না মানা ৫৭ রান করার পর বোলিংয়ে ৯ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ম্যাচটি আসলে রশিদ খানের কাছেই হেরে গিয়েছিল মাশরাফিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে তিন রানের কোনো রকম জয়ে প্রতিশোধ নেয় বাংলাদেশ।
ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার পর আফগানিস্তানকে নিয়ে অনেকের মনে ভয়; কিন্তু প্রতি ম্যাচেই তো আর অঘটনের সম্ভাবনা জাগবে না। সাকিব, মুশফিক আর মাশরাফিরা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলে আফগানিস্তানের প্রকৃত শক্তিটাই দেখা যাবে। যে শক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর সাধ্যি নেই তাদের।
১০০ ওভারের খেলা। ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টাতে পারে ম্যাচের। যেমন ছিল ভারত-আফগানিস্তানের ম্যাচেও; কিন্তু ভারতের অভিজ্ঞতার কাছেই শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে নবীন আফগানিস্তানকে। বাংলাদেশও এই জায়গায় অনেক এগিয়ে রশিদ খানদের চেয়ে। যোগ্যতায়ও। প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানদের অবশ্যই সমীহ করবে বাংলাদেশ। কিন্তু এগিয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাসে। শক্তি, অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস মিলিয়েই এই বিশ্বকাপে তৃতীয় জয়টি ঝুলিতে ভরতে পারে টাইগাররা।
এক নজরে বাাংলাদেশ-আফগানিস্তানের আগের ৭ ম্যাচ
১ মার্চ ২০১৪ : আফগানিস্তান ৩২ রানে জয়ী (ফতুল্লা), ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ : বাংলাদেশ ১০৫ রানে জয়ী (ক্যানবেরা), ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ : বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী (ঢাকা), ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ : আফগানিস্তান ২ উইকেটে জয়ী (ঢাকা), ১ অক্টোবর ২০১৬ : বাংলাদেশ ১৪১ রানে জয়ী (ঢাকা), ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ : আফগানিস্তান ১৩৬ রানে জয়ী (আবুধাবি), ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ : বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী (আবুধাবি)