গতকালকের দিনটি সোনার ফ্রেমে বন্ধি করে রাখবে বাংলাদেশ দল। কিউই সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে আবারও ভুল প্রমাণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্রেফ উড়িয়ে দিল টাইগাররা। উইন্ডিজদের দেওয়া ৩২২ রান ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে তুলে নেয় সাকিব-লিটন জুটি।
গেইল-রাসেলকে রানের খাতা খুলতে না দিয়েও ক্যারিবীয়রা করে ৩২১ রান। শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইসের ৭০ এবং শিমরন হেতমায়ারের ২৬ বলে টর্নেডো অর্ধশতকে কল্যাণে ৩০০ রানের কোটা পার হয় হোল্ডারের দল। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ-মুস্তাফিজ নেয় ৩টি করে উইকেট।
এছাড়া বোলিংয়ে নিজের কৃতিত্ব দেখান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি তুলে নেন ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২ রানের একটি ভালো শুরু এনে দেন তামিম-সৌম্যের জুটি। সৌম্য-মুশফিক-তামিমের বিদায়ের পর জয়গাথা লিখেন সাকিব-লিটন।
৯৯ বলে ১২৪ রানে অপরাজিত থেকে সাকিব জয় নিয়েই মাঠে ছাড়েন। আর এই সেঞ্চুরির সাথে তিনি পেছনে ফেলেন ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে। এক সেঞ্চুরিতে ক্রিকেটের মহানায়কদের পেছনে ফেলেন তিনি।
বিশ্বকাপে সাকিবের মোট রান এখন ৯২৪। মাত্র ২৫ ম্যাচে এই রান করেন তিনি। ২১ ম্যাচে বিশ্বকাপে ৯১৫ রান করেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ২০ ম্যাচে ৯০৭ রান করেন। ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ ২১ ম্যাচে ৮৯৭ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ২৫ ম্যাচে ৮৮৮ রান করেছেন। ভারতের রাহুল দ্রাবিড় ২২ ম্যাচে ৮৬০ রান, বীরেন্দ্রর শেহবাগ ২২ ম্যাচে ৮৪৩ রান, এছাড়া আজহার উদ্দিন ৩০ ম্যাচে ৮২৬ রান করেন। তাদের প্রত্যেককে সোমবার ছাড়িয়ে যান সাকিব।
তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৪৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৭৮ রান করেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
