বিশ্বকাপে কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ এ নিয়ে আলোচনা সব মহলে। ১১ জনের ৮-৯ টা পজিশনে সবাই ফিক্সড থাকলেও ঝামেলা আছে ২-৩ টি জায়গা নিয়ে। এখান থেকে সেরা একাদশ বাছাই করতে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তাই বিশ্বকাপে টাইগার একাদশের আমাদের ২য় পর্বে থাকছে চার পেসার নাকি দুই স্পিনার?
গতকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা গেছে একমাত্র আবু জায়েদ রাহি বাদে সকল পেসারই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। বিশেষ করে মোস্তাফিজ ও রুবেল। শুরুর ২০ ওভার ভারতকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের পেস বোলাররাই।
রুবেল মোস্তাফিজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০২ রানেই ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। এরপর যখন স্পিনাররা বোলিংয়ে আসে তখন থেকেই রানের চাকার গতি বাড়তে থাকে ভারতের। এবং শেষ পর্যন্ত তারা ৩৬০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে।
স্বভাবতই ভারত এশিয়ার দল এবং স্পিনে তারা সবার সেরা। তারউপর খেলা হচ্ছে ইংল্যান্ডে যেখানে পিচে স্পিনারদের জন্য নেই কোন বাড়তি সুবিধা তাই তাদের বিপক্ষে সহজেই রান তুলেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
শুধু ভারত নয় এশিয়ার যেকোন দলই স্পিনের বিপরীতে যথেষ্ট সাবলীল। সুতরাং, মূল পর্বে বাংলাদেশের ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশে চার পেসার ও ১ জন ফ্রান্টলাইন স্পিনার নিয়ে খেলাই হবে যুক্তিযুক্ত। আর সাথে সাব্বির/মোসাদ্দেক, রিয়াদের পার্টটাইম বোলিংতো আছেই।
অন্যদিকে এশিয়ার বাইরের দেশগুলা স্পিনে যেকোন পিচেই বেশ দুর্বল এবং পেসে তারা যথেষ্ট সাবলীল। সুতরাং, তাদের বিপক্ষে ২ একজন পেসার কম নিয়ে সাকিবের সাথে বাড়তি স্পিনার হিসেবে মেহেদি মিরাজকে রাখাই হবে যুক্তিযুক্ত।
