বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে। সেবারের টুর্ণামেন্টে চার ম্যাচের দু’টিতে তারা হেরে যায় এবং দু’টিতে জয়লাভ করে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে আর দিনকয়েক পরেই শুরু হয়ে যাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহারণ। বিশ্লেষকেরা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে ফেবারিট তকমা না দিলেও ‘আন্ডারডগ’ বলে মনে করছেন
এখন পর্যন্ত চারবার বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই খেলতে গিয়েছে বড় কোনো লক্ষ্য ছাড়াই। তবে এবার বাংলাদেশ নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে গেছে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। ২ জুন ওভালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ে নামার আগে আদর্শ প্রস্তুতিই যোগান দিতে পারে নতুন ইতিহাস রচনায় সঙ্ঘবদ্ধ একটি দলকে অদম্য হয়ে ওঠার সাহস এবং আত্মবিশ্বাস।
কোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে ইংলিশ মিডিয়ার নানান ধরনের হাস্যকর প্রেডিকশন নতুন কিছু নয়। এবারও প্রেডিকশন দিয়ে সমালোচনার মুখে কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম।
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে,
‘বাংলাদেশ দলে মাশরাফির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। এ দলে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা ক্রিকেটার আছে। কিন্তু দলটিতে কোনো বিগ হিটার নেই, যারা অল্প সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এছাড়া দলটি ৩০০+ স্কোর চেজ করতে অস্বস্তিবোধ করে। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন স্কোর হরহামেশাই হচ্ছে। তারা টুর্নামেন্টে একটা আপসেটের জন্ম দিতে পারে। তবে মাশরাফি যে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যের কথা বলেছেন, তা অলীক কল্পনা।’
