কাতারে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী হাফেজ হেদায়েত উল্লাহর প্রথম স্থান অর্জন করেছে।কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয় এর অধিনে আয়োজিত দারুস সালাম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় ১ম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের এই ক্ষুদে হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ।হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ দেশের খ্যাতিমান ক্বারী হাফেজ নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠিত ঢাকা যাত্রাড়ীস্থ তাহফিজুল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।
কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয় এর অধিনে আয়োজিত দারুস সালাম কুরআন প্রতিযোগিতা প্রায় ৪০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।২ জুন স্থানীয় সময় রাত ৭টায় কাতারের দোহায় মসজিদে দারুস সালামে কাতারে শায়খ ডক্টর মুওয়াফী আজাব তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।হেদায়েত উল্লাহর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গত মে মাসের প্রথম দিকে দোহা যায়। সেখানে ৪০০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ১ম স্থান অর্জন করে সে।হেদায়েত উল্লাহ কুমিল্লার মুরাদনগরের হাফেজ মাওলানা হেমায়েত উল্লাহর সন্তান, যিনি কাতারের একটি মসজিদে ইমাম
প্রায় অর্ধকোটি নগদ টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক আর ১২ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে গত বছর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস।
সোহালে রানা চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পাপের ভার তাকে বাড়ির পরিবর্তে কারাগারে নিয়ে যায়। সেই থেকে জেলার সাবেক এখনো কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।সোহেল রানা গ্রেফতার হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলমের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটির অনুসন্ধানে সোহেল রানাসহ আরও ৪৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের তথ্য পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, কারা বিভাগের ১ জন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ২ জন সিনিয়র জেল সুপার, সাতজন ডেপুটি জেলারসহ ৪৯ কর্মকর্তা–কর্মচারী।তদন্ত শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সৈয়দ বেলাল হোসেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযুক্ত ৪৯ জন হলেন- তৎকালীন ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী, জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস, ডেপুটি জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন, মো. ফখর উদ্দিন, মো. আতিকুর রহমান, মুহাম্মদ আবদুস সেলিম, হুমায়ন কবির হাওলাদার, মনজুরুল ইসলাম, সৈয়দ জাবেদ হোসেন, সহকারী সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফার্মাসিস্ট রুহুল আমিন, রামেন্দু মজুমদার পাল, কর্মচারী লায়েস মাজহার কারারক্ষী ও অন্যান্য কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন- মো. আবুল খায়ের, নূর আলম, গাজী আবদুল মান্নান, মো. তাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুর করিম, মোসলেম উদ্দিন, বেলাল হোসেন, হিসাবরক্ষক এমদাদুল ইসলাম, ক্যানটিন ম্যানেজার উলিউল্লাহ, এইচ এম শুভন, কাউছার মিয়া, আরিফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মিতু চাকমা, শহিদুল মাওলা,
শরিফ হোসেন, জুয়েল রানা, আনোয়ার হোসেন, স্বপন মিয়া, মহসিন দপাদার, আনজু মিয়া, লোকমান হাকিম, শিবারন চাকমা, ত্রিভূষণ দেওয়ান, অংচহ্না মারমা, রুহুল আমিন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল মিয়া, আবদুল হামিদ, ইকবাল হোসেন, শামীম শাহ, মো. উসমান, মো. বিল্লাল হোসেন ও অডিট টিমের সদস্য আবু বকর সিদ্দিকী।
