২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতির পর আবারো জাতীয় দলে ফরহাদ রেজা৷ দীর্ঘ বিরতির পর কোন কিছু প্রাপ্তি সবসময়ই আনন্দদায়ক। তাই অনুশীলন জার্সি পড়েই বললেন,‘এরচেয়ে বড় শান্তি আর কিছুতে নেই।’
তবে ওয়ানডেতে রেজার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ৷ ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে যে লাল-সবুজ জার্সি তুলে রেখেছিলেন, আর ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হয়নি তার। সেবিবেচনায় অপেক্ষাটা আট বছরের।
তিনি বলেন, ‘আশা ছাড়া তো মানুষ বাঁচে না। যতদিন অবসর নিচ্ছি না, ততোদিনই জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরার জন্য লড়াই করে যাব।’
৩২ বছর বয়সী এই অল-রাউন্ডার আবারও ফিরেছেন জাতীয় দলে। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেই তার এই সুযোগ হয়েছে। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ৩৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন। উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন সবার উপরে। তার পুরস্কারও পেলেন খুব দ্রুত সময়ে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে ফরহাদ রেজা আর তাসকিন আহমেদকে।
কে জানে এই সিরিজে ভালো করে যে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিবে না ফরহাদ? সেটুক আপাতত সময়ের হাতেই তোলা থাক।
রোববার বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান যখন জানান,আয়ারল্যান্ডে দলের সঙ্গে যাবেন তাসকিন আর ফরহাদ রেজা।
যদিও শনিবার ফরহাদ রেজাকে জানানো হয় জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতে। আকরাম খানের ঘোষণার পরেই ফরহাদ রেজা কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
সেখানে তিনি বলেন,আমাকে বলা হয় জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে। আজ ২৮ ও কাল ২৯ মে দুইদিন প্র্যাকটিস হবে। তাই সকালেই চলে আসলাম মাঠে। অনেকদিন পর সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার।
ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে আবারও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া।
তার বয়সী অনেকেই খেলা ছেড়ে হয়েছেন কোচ। অথচ ফরহাদ রেজা সেখানে স্বপ্ন দেখেন লাল-সবুজের জার্সিতে আবারও খেলার। এই স্বপ্ন দেখানোর পেছনের মানুষগুলো কে?
‘আমার এই ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে দুইজন মানুষের বড় অবদান আছে। একজন নিঃসন্দেহে আমার মা। বাদ পড়ার পর যখন খারাপ লাগতো তখনই দুইটা মানুষ আমাকে ভেঙ্গে পড়তে বারণ করতেন। এই দুইজনের একজন আমার আম্মা তবে, আরেকজনের নাম বলব না। এই দুইটা মানুষ সবসময় আমাকে উৎসাহ যোগাতেন।’
