জুবায়ের আহমেদ: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সফল ও ব্যতিক্রমধর্মী পেসার লাসিথ মালিঙ্গা, বল হাতে ব্যাটসম্যানদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে আবির্ভূত হওয়া এই লংকান পেসার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন, ইতিমধ্যেই টেস্ট খেলা ছেড়ে দিলেও ওয়ানডে ও টি২০ মাতাচ্ছেন নিয়মিত, আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে একাধিক হ্যাট্রিক ও বিশ্বকাপে পরপর চার বলে উইকেট শিকার করা এই পেসার রোমাঞ্চকর এক ঘটনার জন্মদিলেন গতরাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত।
ইনজুরী ও অফফর্মের কারনে বেশ কিছুদিন ক্রিকেটের বাহিরে থাকা মালিঙ্গা আইপিএলের গত মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তারপর জাতীয় দলে ফিরে পারফর্ম করার মাঝেই এবার আইপিএলে আবারো ক্রিকেটার রূপে ফিরেছেন তিনি, মুম্বাইয়ের হয়ে ৩ ম্যাচ খেলেছেন এ পর্যন্ত। গতকাল আইপিএলের ১৫তম ম্যাচে রাত ৮.৩০ মিনিটে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয় মুম্বাই, মুম্বাইয়ের গড়া ১৭০ রানের জবাবে মালিঙ্গার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৩৩ রানেই থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস, ৩ উইকেট শিকার করেন মালিঙ্গা।
গতকাল রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত চলা আইপিএলের ম্যাচ খেলেই উড়াল দেন নিজ দেশ শ্রীলংকায়, সেখানে আজ থেকে শুরু হওয়া সুপার ফোর প্রভিডেন্স লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্টের ২য় ম্যাচে গলের অধিনায়কত্ব করেন মালিঙ্গা, প্রথমে ব্যাট করে ২৫৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় গল, ৫ বলে ২ রান করে আউট হন মালিঙ্গা, সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন মেন্ডিস।
২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা কেন্ডি মালিঙ্গার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৯৯ রানেই অলআউট হয়, বল হাতে খুনে মেজাজে আবির্ভূত হন এই অভিজ্ঞ তারকা পেসার, একে একে কেন্ডির ৭ উইকেট শিকার করেন তিনি, চামিরা ৩ উইকেট শিকার করেন, ১৫৬ রানের বড় জয় তুলে নেয় গল। ম্যাচসেরা হন মালিঙ্গা।
পরপর দুই দিনে ম্যাচ খেলার বহু রেকর্ড থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে পরদিন সকালে আবারো মাঠে নামা এবং বল হাতে ৭ উইকেট শিকার করে রোমাঞ্চের জন্ম দিয়েছেন মালিঙ্গা, এতো অল্প সময়ের মধ্যে দুই ম্যাচে পারফর্ম করে ৩ ও ৭ উইকেট মিলিয়ে ১০ উইকেট শিকার করার মতো সাফল্য তেমন একটা আসেনি স্বীকৃত ক্রিকেটে।
