ম্যাচের শুরুতেই দুই গোল করে এগিয়েছিল বার্সেলোনা। এরপর ঘরের মাঠে পরপর চার গোল করে বার্সাকে হারিয়ে দিতে বসেছিল ভিয়ারিয়াল। তবে শেষ দিকে বার্সাকে উদ্ধার করেন লিওলেন মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। তাদের গোলে আট গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।
সোমবার রাতে এস্তাদিও লা সারমিকাতে বার্সেলোনাকে স্বাগত জানায় ভিয়ারিয়াল। ওই ম্যাচের রোমাঞ্চকর লড়াইটি ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছে। বার্সার হয়ে ম্যাচের শেষ দিকে মেসি ও সুয়ারেজ ছাড়াও শুরুতে একটি করে গোল করেন ম্যালকম ও ফিলিপ কুতিনো।
প্রতিপক্ষের মাঠে আক্রমণে এগিয়ে থাকা বার্সা ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এসময় ডান দিক থেকে স্বদেশি তারকা ম্যালকমের পাস থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন কুতিনো। এর চার মিনিট পর দলের ব্যবধান দিগুণ করেন ম্যালকম। আর্তুরো ভিদালের ক্রসে হেডে বল ভিয়ারিয়ালের জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান এ তারকা।
ঘরের মাঠে দুই গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়ায় ভিয়ারিয়াল। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান দলটির খেলোয়াড় সামুয়েল। সতীর্থের পাস ধরে কোনাকুনি শটে জালে বল পাঠান নাইজেরিয়ার এই মিডফিল্ডার।
বিশ্রাম শেষে ম্যাচের ৫০ তম মিনিটে ভিয়ারিয়ালকে সমতায় ফেরান তোকো একাম্বি। বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন একটু সামনে এগিয়ে থাকার সুযোগে দারুণ এক শটে বল সফরকারীদের জালে পাঠান তিনি। ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে কুতিনোকে তুলে দলের সেরা তারকা মেসিকে মাঠে নামান কোচ। কিন্তু মেসি মাঠে নামার ৩ মিনিটর উল্টো আরেক গোল হজম করে বসে কাতালান ক্লাবটি। ভিয়ারিয়ালের হয়ে এ সময় গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভিসেন্তে ইবোরা।
চেনা মাঠে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ভিয়ারিয়ালকে ৪-২ গোলে এগিয়ে দেন কার্লোস বাক্কা। তবে ম্যাচের ঠিক ৯০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে মেসির আরেকটি গোল বার্সাকে নতুন আশা দেখায়। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে স্বাগতিকদের উচ্ছ্বাস থামিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। কর্নার থেকে আসা বল কাজে লাগিয়ে নিচু জোরালো শটে স্কোরলাইন ৪-৪ করেন উরুগুইয়ান এ তারকা।
লিগে এ ড্রয়ের পর ৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও সাত ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭০। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ।