তোমারি লম্বা ঘন কুন্তলে লও আমাকে বেঁধে,
আমাকে নয়,আমার এ মনকে।
যেমন আকাশের নীল ঢেউকে ঢেকে রাখে কালো মেঘের পালে,
আমাকেও ঢেকে রেখো তোমারি ঝুলে থাকা কৃষ্ণ কাননতলে। শত বছর সাধনার সাথে সাধনা করে মানুষ পেয়েছে চাঁদের শান্ত সাগর খুঁজে,
আর আমি পেয়েছি তরল ভেদে অতি সহজে সে সাগর তোমার অগণিত চুলের ভাঁজে।
যেদিন জ্বীন ইনসান মত্ত থাকিবে স্বীয় পানাহে আপন সুখের তরে,
আমি অস্থির থাকিবো সেদিন তোমার কুন্তলের রসাস্বাদনের ছলে।
তুমি সুমেরীয় স্বর্গদেবী কোঁকড়া চুলের ইস্টার,মিশরীয় সুদীর্ঘ চুলের দেবী আইসেসকে করেছো পরাজয়,
তোমার শুষ্ক চুলে মাখা নারিকেল তেলের কামুক গন্ধের অপূর্ব মহিমায়।
ওরা করেছে মানব শাসন দেবতার জাদুর বাহন বলে,
তুমি করেছে বিশ্বপ্রেমে শাসন জীর্ণ মনকে জোয়ার সৃষ্ট কুন্তলে।
বাবুই বেঁধেছে বাসা,তালপাতার ঐ শক্ত শিরে দুল্যমান ঘাসবনের বিছানাতে,
আমি খুঁজে পেয়েছি চির শান্তির নিবাস তোমার কোমল কুন্তলদেশে,
ঝোড়ো হাওয়া,তুফান,তুষার বৃষ্টিতে আশ্রয় আর আস্থার অভয়ারণ্য খুঁজে পেয়েছি তোমার চুলের মুলে,
যেমন চক্ষুশ্রবার ভয়ে ছোট মাছগুলো খুঁজে পায় বেঁচে থাকার ভরসা কচুরিপানার ঐ কালো উলে।
মৃত্যু শয়নকালে উপাধানের পরিবর্তে পাই যেন মাথার পিছনে তোমার চুলের অশ্রান্তির স্পর্শতা,
কুন্তলের সে ভালোবাসার পরমানন্দ মুছে দিবে লেগে থাকা সব যন্ত্রণাময় মুমূর্ষুতা।
অানিসুর রহমান
ইংরেজি বিভাগ (৪র্থ বর্ষ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।