সামনেই আসছে ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এর আগে দলে জায়গা পাকা করা ক্রিকেটারদের ফর্মে থাকাটা যেকোন দলের অধিনায়ককে স্বস্তি দেয়। লিটন দাস সেই স্বস্তিতে রাখতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। তবে আশার কথা সামর্থ্যের কথা জানেন বলেই কিনা এখনো ভরসা রেখেছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।
২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় লিটন কুমার দাসের। অভিষেকে ৮ রান করে আউট হলেও সিরিজের পরের দুই ম্যাচে করেন যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৪ রান। এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেলেও বলার মতো পারফরম্যান্স আসেনি লিটনের ব্যাটে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যেয়ে তিন ওয়ানডেতেও ২৫ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি। ছিলেন এশিয়া কাপের দলে। যেখানে প্রথম ৩ ম্যাচে দুই অঙ্কের রান করতে ব্যর্থ হওয়া লিটন চতুর্থ ম্যাচে যেয়ে করেন ৪১ রান। ১ ম্যাচ বিরতি দিয়ে বড় মঞ্চে (এশিয়া কাপের ফাইনাল) করেন নিজের প্রথম ওয়ানডে শতক। ভারতের বিপক্ষে খেলেন ১১৭ বলে ১২১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খেলেছেন ৮৩ রানের এক ইনিংস। উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজে করেন যথাক্রমে ৪১, ৮ ও ২৩। তবে ব্যর্থ হয়েছেন নিউজিল্যান্ড সফরে যেয়ে। তিন ওয়ানডের সবকটিতেই আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১ রানের মাথায়। ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে ১ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৭ রান।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবশ্য ওসব পারফরম্যান্স বা লিগে লিটনের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নন। মাশরাফির ভাবনা জুড়ে আছেন বিধ্বংসী হবার ক্ষমতা রাখা লিটন।
‘ঢাকা লিগ নিয়ে আমি এতটা চিন্তিত না যে এখান থেকে রান করে গেলে ওখানে সে ঐ ফর্মটাই ধরে রাখবে এটার সাথে আমি একমত না। একই সঙ্গে লিটন কি মানের খেলোয়াড় সেটি হয়তো এক দুটি ম্যাচে আমরা সম্প্রতি দেখতে পেরেছি। এশিয়া কাপ ফাইনালের কথা আমি বলছি। আমার কাছে মনে হয় সে বিধ্বংসী হতে পারে। এই সম্ভাবনা তার মধ্যে আছে।’
লিটনের কাঁধে থাকছে অধিনায়কের ভরসার হাত। আর লিটনের কাছ থেকে সেরাটা নিয়ে দলকে উপকৃত করতে কাজ চলছে। ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি আলাদা করে কাজ করছেন লিটনকে নিয়ে। লিটনের স্বাভাবিক খেলাতে দল উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি।
‘ব্যাটিং কোচও ওকে নিয়ে কাজ করছে। আসলে ধারাবাহিকতাটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি যে ও যদি স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলে তাহলে সেটি আমাদের দলের জন্য অনেক বড় সুবিধা হবে।’