বয়স ৩৯ পেরিয়ে ৪০ এর কাছাকাছি। তাই ইংলিশদের বিপক্ষে নামার আগে অবসরের ডেডলাইনও ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২২ গজে নেমে যে ম্যাজিক দেখিয়েছেন তাতে নিজের কাজে নিজেই মুগ্ধ ক্রিস হেনরি গেইল।
সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় মোট চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ক্রিস গেইলরা। যাতে দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর সুযোগ পান। জিতে নেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও। এছাড়া ঘরের মাঠে বেশ কয়েকটি রেকর্ডের সাক্ষী হন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব। পাঠকদের জন্য সেই রেকর্ডগুলো তুলে ধরা হলো।
১. শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৯ বলে ফিফটি হাঁকান গেইল। এর আগে ক্যারিবিয়ান জার্সিতে ২০ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন ড্যারেন সামি। আর গতকাল সে রেকর্ডটি ভেঙে দেন গেইল। অর্থাৎ দেশের হয়ে এখন সর্বনিম্ম বলে ফিফটির মালিক তিনি।
২. ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে ফিফটি প্লাস স্কোর করেছেন ক্রিস গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সিরিজে মোট ৪২৪ রান করতে সক্ষম হন তিনি।
৩. গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে গেইল তার ৭৭ রানের মধ্যে ৭৪ রানই তুলেছেন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। ম্যাচটিতে ৯টি ছয় এবং ৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।
৪. গতকাল ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন গেইল। ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর ক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয়। হোম ভ্যানুতে তার ছক্কার সংখ্যা ২০৫। আর প্রথমে থাকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ২৩০।
৫. দুই ফিফটি এবং দুই সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড সিরিজে গেইলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২৪। যা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার ম্যাচের সিরিজে ২১৩ রান তুলেছিলেন হাশিম আমলা।
৬. ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গেইলের ৩৯ ছক্কাও বিশ্বরেকর্ড। কারণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কা তিনিই হাঁকিয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালে গেইল নিজেই ২৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তবে এবার নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন তিনি।-ক্রিক ট্যা.