ব্রেকিং নিউজ

দলে ফিরতে যাচ্ছেন সাকিব

নিউজিল্যান্ডে রওনা হওয়ার ঠিক আগের দিন আঙুলের চোট ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে দেয় সাকিব আল হাসানকে। তখন ধারণা করা হচ্ছিল টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ফিরতে পারবেন তিনি। কিন্তু এখনো অনিশ্চিত তার ফেরা। দুই-একদিনের মধ্যেই এক্সরে রিপোর্ট থেকেই জানা যাবে সাকিব কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন।

টেস্ট অধিনায়কের আঙুলের বর্তমান অবস্থা জানতে এক্সরে করা হবে শুক্রবার কিংবা শনিবার। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে নিউজিল্যান্ডে তিনি খেলতে পারবেন কিনা। রিপোর্টে আঙুলের অবস্থার উন্নতি দেখা গেলে আর সাকিব ব্যাথা অনুভব না করলে তিনি শেষ দুইটি টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন। আর যদি এখনই ফিরতে না পারেন তাহলে আয়ারল্যান্ডে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেবেন সাকিব।

গত পরশু বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারে সাকিব। তবে এখন পুরোটাই নির্ভর করছে রিপোর্ট ও তার ব্যাথা অনুভবের ওপরে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, “আগামীকাল (শুক্রবার) না হয় পরশু (শনিবার), সাকিবের আঙুলে এক্সরে করা হবে। যদি ব্যথা কম থাকে, তাহলে সে অনুশীলন শুরু করবে। তারপরও যদি সে মনে করে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবে, খেলবে। নির্ভর করবে এক্সরে ও তার অবস্থার ওপর। এক্সরে রিপোর্ট ভালো থাকলে সে অনুশীলন শুরু করতে পারবে, না হলে বিশ্রামে থাকবে।”

নিউজিল্যান্ডে প্রথম ম্যাচ থেকেই সাকিবের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ওয়ানডে সিরিজে সাকিবের বদলি হিসেবে কাউকে দলে নেয়া হয়েছিল না, তবে টেস্টে বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাকা হয়েছিল সৌম্য সরকারকে। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। দলও নেই সুবিধাজনক অবস্থানে। তাইতো সাকিবকে দলে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাটা আরো তীব্র হয়েছে। এদিকে মুশফিকও ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছেন টেস্ট দল থেকে। তিনিও ফিরবেন তৃতীয় টেস্টে।

হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ২ দিন হাতে রেখেই দলটি এখন পাচ্ছে জয়ের সুবাস।৪ উইকেটে ৪৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা নিউজিল্যান্ড তৃতীয় দিন থামে ৭১৫ রানে গিয়ে। নিজেদের ইতিহাসের সেরা স্কোর গড়ার ইনিংসে দলটি হারায় মাত্র ৬টি উইকেট। ইনিংস ঘোষণার আগে বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমত তুলোধুনো করেছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা।

শতকের খুব কাছে গিয়ে দ্বিতীয় দিনের বিরতি নেওয়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন তুলে নিয়েছেন দ্বি-শতক। ২৫৭ বলের মোকাবেলায় ঠিক ২০০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ডাবল সেঞ্চুরির পরই দল ইনিংস ঘোষণা করে। এছাড়া নেইল ওয়াগনার ৩৫ বলে ঝড়ো ৫৩ রান, বিজে ওয়াটলিং ৬৭ বলে ৩১ ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৫৩ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন।

নির্বিষ বোলিং দিয়ে ইনিংসে মাত্র দুটি উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগেরদিনই ২ উইকেট তুলে নেওয়া সৌম্য সরকার তৃতীয় দিন আর কোনো উইকেট পাননি। এবাদত হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনিংসে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

নিউজিল্যান্ডের ৪৮১ রানের বিশাল লিডকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিচ্ছিল ভালো শুরুর ইঙ্গিত। তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটিতে এসেছিলো ৮৮ রান। ৭১ বলে ৩৭ রান করা সাদমান প্রথম ইনিংসে ‘ফণা তোলা’ নেইল ওয়াগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুতই বাংলাদেশ হারায় মুমিনুল হক (৮), মোহাম্মদ মিঠুন (০) ও তামিম ইকবালকে। বিদায়ের আগে তামিম অবশ্য ভুগিয়েছেন কিউই বোলারদের। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস, ৮৬ বলের মোকাবেলায়। তামিমের আজকের ইনিংসও ছিল চারে সমৃদ্ধ। ১২টি চার ও ১টি ছক্কা এসেছে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।

Leave a Reply