কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সাথে পৃথক কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা মাদক কারবারী ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এদিকে, টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহতরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার আবদুল জলিল প্রকাশ জানে আলমের ছেলে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাতের ছোট ভাই নজির আহমদ (৪০) ও হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজি জাকরিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪০)। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন-এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরসাদুল ও বেলাল উদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, হোয়াইক্যংয়ের বটতলী এলাকায় ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মাদক কারবারীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পাচারকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের টেকনাফ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নজির ও গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে একধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় চোরাকারবারীরা। বিজিবিও এসময় পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক বিজিবি সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশ দুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আহত বিজিবি সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।