ব্রেকিং নিউজ

শোকাবহ ২৫ ফেব্রুয়ারি, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের দশ বছর

পিলখানা ট্র্যাজেডির সেই বিভীষিকাময় দিন আজ। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে সেনা কর্মকর্তাদের রক্তে ভেসে গিয়েছিল পিলখানা।

দেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় সেই নৃশংস ঘটনায় তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

এদিকে পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টে আপিলের রায় শেষ হলেও ঝুলে আছে বিস্ফোরক মামলা। এর ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিচারপ্রার্থীরা। বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরেও বিচার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়ায় খালাসপ্রাপ্ত অন্তত তিনশ জনের জামিন মিলছে না।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে মর্মান্তিক এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ১৩৯ জনের ফাসিঁ, ১৮৫ যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে হাইকোর্ট রায় দেন। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহে পলাতক ২২ বিডিআর সদস্য এখনো গ্রেফতার হয়নি। এদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। তারপরও তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারের জন্য অপারেশন র‌্যাবল হান্ট নামে অভিযানও চালানো হয়েছে। পলাতকদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্সে এই ১৪ জনের আপিল হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন কর্মকর্তা জানান, পলাতক ২২ বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতারে নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

পলাতক ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিপাহি মইন উদ্দিন (নওগাঁ), বিশ্ব মিত্র বড়ুয়া (চট্টগ্রাম), আতিকুর রহমান (শরীয়তপুর), মিজানুর রহমান (শেরপুর), পুলতন চাকমা (খাগড়াছড়ি), কামরুল হাসান (লক্ষ্মীপুর), নূরুল ইসলাম (কক্সবাজার), হামিদুল ইসলাম (ফরিদপুর), হাসিবুর রহমান (শেরপুর), আনিসুর রহমান (সিরাজগঞ্জ), ফরহাদ হোসাইন (নওগাঁ), আল মামুন (সাতক্ষীরা), নজরুল ইসলাম মল্লিক (বরিশাল) ও সাদুল্লাহ (কক্সবাজার)। বাকিরা হলেন- রেজাউল করিম (চট্টগ্রাম), বাকী বিল্লাহ (নীলফামারী), মুকুল আলম (গাইবান্ধা), মেজবাহ উদ্দিন (চট্টগ্রাম) কামরুল ইসলাম (খুলনা), মোহাম্মদ সেলিম (চট্টগ্রাম), মিজানুর রহমান (চট্টগ্রাম) ও মকবুল হোসেন (লালমনিরহাট)।

Leave a Reply