ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের গত আসরে মোহাম্মদ আশরাফুল সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ছিলেন। ১৩ ইনিংসে ৬০ গড় ও ৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৬৬৫ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরি ছিল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পাঁচটি।
তবুও আশরাফুলের দল কলাগাবান রেলিগেশনে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। দলের পারফর্মেন্সে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি আশরাফুলের পারফর্মেন্স।এবারের ডিপিএলে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দল মোহামেডানের জার্সিতে দেখা যাবে আশরাফুলকে। দলে লিটন দাস, রকিবুল হাসান, আব্দুল মজিদ, শফিউল ইসলামদের মতন ক্রিকেটাররা থাকায় স্বস্তিতে আশরাফুল।
‘এটা আসলে আমি মনে করি না। যদি ম্যাচের অবস্থা দেখেন, সেই অনুযায়ী শুরুতে হয়তো কয়েকটা ম্যাচে… তবে যেগুলো আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম। সেগুলো অবস্থা অনুযায়ী ঠিকই ছিল। কারণ মোহামেডানের সাথে আমি ১২৭ করেছিলাম ১২৩ বলে। তো হাতে থাকবে রান বেশি হবে তখন এক ধরনের খেলা, আবার উইকেট পড়ে গেলে আরেক রকমের খেলা হবে। গত বছর ৭৪ স্ট্রাইক রেট ছিল, এবার চেষ্টা থাকবে ভালো করার।
‘তবে এটাও ঠিক গত বছর থেকে আমি এখন অনেক ফিট। সবকিছু থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। গত বছর এতটা ফিট ছিলাম না। লক্ষ্য তো থাকবেই স্ট্রাইক রেটটা যেন ভালো হয়। টিমের পারফর্মেন্সে অ্যাফেক্ট করে ওইভাবে চেষ্টা করব। যদি আনলাকি ছিল যে, সবাই যেই প্রশ্ন করে, টিমের পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলে নি। আসলে একা তো সম্ভব না। তো এইবার টিমটা খুব ভালো। আশা করি সবাই মিলে ভালো করব,’ মিরপুরের একাডেমী মাঠে মোহামেডানের অনুশীলন শেষে বলেছেন আশরাফুল।
৮ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের মূল আসরের আগে ছোট পরিসরে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট খেলবে। মূল আসরের আগে টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টটি দল গোছাতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস আশরাফুলের।
‘এটা খুবই ভালো প্রত্যেক দলের জন্য। কারণ টিম তৈরি করার জন্য কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচ প্রয়োজন হয়। তো সেটার আগে এই আয়োজনটা আমি মনে করি ৮ তারিখ যখন ম্যাচ শুরু হবে, তাঁর আগে আমরা যেই ৪টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা ভালো সুযোগ সবার জন্য।’