হয়তো একেই বলে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ।’ একে তো সিরিজ খুইয়ে নাকাল তার ওপর অবাার ইনজুরিতে ভঙ্গুর টিম টাইগার্স। নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টাচার্চ; কোথাও হতাশাগুলো আলো হয়ে ফোটেনি। অথচ বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশ যে কতটা দুর্বল তা ঠিকই দেখা গিয়েছে। তাই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারীরা। তার মধ্যে যোগ হয়েছে ইনজুরি। দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ইনজুরিতে অনেকটা বিপদগ্রস্ত দল।
যদিও সুখবার্তা হচ্ছে, মিঠুন এক ম্যাচের জন্য মাঠের বাইরে থাকলেও তৃতীয় ওয়ানডেতে দেখা যাবে মুশফিকুরকে। মঙ্গলবার স্ক্যান শেষে টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত, মিঠুনকে যেতে বসতে হসে সাইটবেঞ্চে। অন্যদিকে মুশফিকের ব্যাপারে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তারা আশাবদী, তৃতীয় ম্যাচে ফিরবেন তিনি। আর তাতে দলের সেরা একাদশে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।
এ নিয়ে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে আমরা একাদশে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি না। যারা অভিজ্ঞ তাদেরই এখানে সুযোগ দেওয়া হবে।’
এসময় মুমিনুলকে উড়িয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘গতকাল মুশফিক-মিঠুনের ইনজুরি স্ক্যান করানো চেষ্টা করেছি। সেটা হয়নি। এখানে এপয়েনমেন্ট নেওয়ার একটা ঝামেলা থাকে। তাই দ্রুত হয়নি। তাছাড়া ওরা ছাড়া আমাদের হাতে আর কেউ নাইও। আমাদের কাউকে না কাউকে দিয়ে জায়গাটা পূরণ করতেই হবে। তারপরও ওরা দুইজন ফিট না থাকলে তাকে (মুমিনুল) প্রয়োজন। আসলে সেরা একাদশে যে তাকে প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। ১২ এবং ১৩ ম্যানের প্রয়োজন হতে পারে। সেইম টাইম অন্যকারো সমস্যা হলে তাকে প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, মুশফিক-মিঠুনের ইনজুরির পর ব্যাকআপ প্লেয়ার হিসাবে মুমিনুলকে উড়িয়ে নেওয়া হয় নিউজিল্যান্ডে।