নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ম ও ২য় ওয়ানডে হেরে সিরিজ থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ টিম। তিন ওয়ানডে ম্যাচের বাকি একটি। হাঁর জিত যেটাই হোক থাকতে নাও পারে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে একাদশে মুশফিক ও মিথুন।
ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের বিপক্ষে যখন রান নিতে হিমশিম খাচ্ছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা, ভুগছে ধারাবাহিকতার অভাবে, তখন স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে ঠিকই রান করে চলেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
এমনিতেই ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি ব্যাটিং ও বোলিং লাইনে ভালোভাবেই টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যাটিং ব্যর্থতার ভেতর দিয়ে যাওয়া টাইগার শিবিরকে বেশ ভুগতে হচ্ছে।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ৯০ বলে ৫ চারের মারে খেলেছিলেন দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বাধিক ৬২ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সেই একই চিত্র। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে তার ব্যাটে ঠিকই রানের দেখা মিলেছে। বলা যায় মিঠুনের ব্যাটিং হতাশার মাঝে এক টুকরো স্বস্তির কারণ।
তবে সেই স্বস্তি আর হয়তো নিয়তি ধরে রাখতে দিচ্ছে না। টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়ায় তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশনে মিঠুনের খেলা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংসে লুকি ফার্গুসনের করা ৩০তম ওভারের শেষ বলে ১ রান নেন মিঠুন। এরপরই তিনি মাঠে শুয়ে পড়েন। ৪৩ রানে থাকা মিঠুন পরে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা নিয়েই ব্যাট করে যান এবং টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন।
ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়ে তিনি ৬৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কার মারে দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বাধিক ৫৭ রান করে অ্যাস্টলের বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিঠুন বোল্ড হন। ইনজুরি নিয়ে ব্যাটিং করা মিঠুনের লড়াকু মানসিকতা বাকি ব্যাটসম্যানদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকে।
তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায় পড়ে যাওয়ায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ডুনেডিনে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে মিঠুনের শেষ ওয়ানডে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনিতেই টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই, তার মাঝে মিঠুন না খেললে মিডল অর্ডারে যে শুন্যতা সৃষ্টি হবে তা টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে পূরণ করবে; তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।