ব্রেকিং নিউজ

ধনবাড়ীতে শিক্ষক পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এক ইউপি চেয়ারম্যান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার –বাবুলের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনায় লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষকের সহকর্মি ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু বিচার দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরও এ ব্যাপরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

স্মারকলিপি দেয়ার আগে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সহকারি শিক্ষক হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম ও দেলোয়ারা বেগম।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বানিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগবিধির শেষ ধাপ অতিক্রম হয়েছে গত ৭ জানুয়ারি। এ সময়ে বানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার বাবুলের ভাগ্নে চৌধুরী গোলাম মুক্তাদির ওরফে তানজিল বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের বিদ্যুৎ লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে নলকূপে পানি তুলতেন।

নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি নুরুল ইসলাম বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অগোচরে বন্ধু তানজিল চৌধুরীকে সহযোগিতা করতেন। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে। স্কুল ক্যাম্পাসে নেশার আসর বসানোর অভিযোগও আছে নুরুলের বিরুদ্ধে। পূর্বাপর এমন নানা বিতর্কিত ও নেতিবাচক কাজে বিদ্যালয়ের এসএমসিসহ সংশ্লিষ্টরা নুরুল ইসলামের চাকরি (নিয়োগবিধি অনুযায়ী) নবায়নের সুপারিশ করেনি। এমনকি স্বপদে থাকতে নুরুল ইসলাম বিধিমতে আবেদনও করেননি। ফলে গত ৩১ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টরা মিটিং এ তাকে নবায়নের সুপারিশ থেকে বিরত থাকেন।

এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় নুরুল ইসলামের পক্ষে বন্ধু তানজিল চৌধুরীর মামা চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার বাবুল গত ২ ফেব্রুয়ারি পরিষদে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে। ডেকে নিয়ে তিনি নুরুল ইসলামের চাকরি নবয়ানের সুপারিশের ব্যবস্থা করতে বললে প্রধান শিক্ষক বিধিবিধানের বিষয় উল্লেখ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সামছুল তালুকদার বাবুল অনেকেরই সামনে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের বক্তব্য পেতে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে আজ ধনবাড়ী থানায় সাধার‌্যণ ডায়েরী করা হয়েছে।

Leave a Reply