শামীম মিয়া,মির্জাপুর,টাঙ্গাইল বিসিএস না হতে পারা ও ভাল চাকরি না পাওয়ার হতাশায় শশুরবাড়ী এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো মনিরুল ইসলাম(৩০)নামের এক যুবক। তার বাবার নাম আনোয়ার গাজী,বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেব গ্রামে।
মঙ্গলবার সকাল প্রায় ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশাই রোডে অবস্থিত কয়েদ আলী ভিলার তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।নিহতের স্ত্রী আইভি আক্তার একজন বিসিএস ক্যাডার।তিনি করটিয়া সাদত বিশ্বশ্বিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।বিবাহিত জীবনে তাদের মুসা নামে এক পুত্র সন্তান ও ৫ মাস বয়সী আরিশা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানাগেছে।
নিহতের স্ত্রী আইভি আক্তার আহাজারি করতে করতে বলেন, এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও ও আমাকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে ছিল।ওর সব সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিতে চেয়ে ছিল আমি না করেছি। কোন ভাবেই বুঝতে পারিনি ওর মনে মনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে ছিল।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স করা মনিরুল মোট ৪ বার বিসিএস পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে।সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষায় প্রিলিতে চান্স পাওয়ার পর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শেষ লিখিত পরিক্ষাটি দেওয়া হয় নাই তার।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেও দীর্ঘদিন বেকার থাকায় চরম হতাশায় ভোগছিল মনিরুল। জ্বরের কারণে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা দিতে না পারা সেই হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয়। ভাল একটি চাকরি অনেক চেষ্টা করেছিল মনিরুল। স্ত্রী বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় বিসিএস আর ভাল একটি চাকরির জন্য ব্যাকুল ছিল মনিরুল।ওসি (তদন্ত) মির্জাপুর মো.মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করেন। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।