টি-টোয়েন্টির রাজা ক্রিস গেইল পারেননি। পারেননি দেশ-বিদেশের নামি-দামি ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি দেখল এমন একজনের ব্যাটে যাকে খুব কম লোকেই চিনে থাকবেন।
‘অখ্যাত’ সেই ক্রিকেটারের নাম লরি ইভান্স। তিনি রাজশাহী কিংসের ওপেনার। যার আজকের ম্যাচটা খেলারই কথা ছিল না।
মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপেই পড়েছিল রাজশাজী কিংস। সেখান থেকে দলকে কী দারুণভাবেই না টেনে তুলেছেন ইভান্স! শত রান তুলতে না পারার শঙ্কায় থাকা রাজশাহী শক্তিশালী সংগ্রহ (১৭৬/৩) পেয়েছে ইভান্সের সেঞ্চুরির সুবাদে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করা ইভান্স ৬২ বলে ১০৪ রানে অজেয় ছিলেন।
পরে মুস্তাফিজ-রাব্বিদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে কুমিল্লাকে ১৩৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে আসরের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী। তাদের দারুণ এই জয়ের নায়ক ইভান্স। যিনি এই ম্যাচটা খেলবেন কিনা খোদ নিজেও জানতেন না। একাদশে তার থাকা নিয়েই ছিল সংশয়। বিপিএলে নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১৩ রান করার পর কোনো ব্যাটসম্যানের পরের ম্যাচে খেলার আশা করাও তো অমূলক।
কিন্তু ইংলিশ অলরাউন্ডারের ওপের আস্থা হারায়নি রাজশাহী কিংস। দলকে সেটারই প্রতিদান দিলেন ইভান্স। ম্যাচটা তিনি খেলতে নেমেছিলেন আকাশ ছোঁয়া বিস্ময় নিয়ে। ম্যাচ শেষে ইভান্স বলেছেন, ‘একাদশে নিজের নাম দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কারণ শেষ ম্যাচগুলোয় ব্যর্থতার কারণে এই ম্যাচে আমার সুযোগ প্রাপ্য ছিল না।’
রাজশাহীর ইংলিশ ওপেনার আরো বলেছেন, ‘টানা ব্যর্থতার পরও আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি কোচ ও দলের মালিকের কাছে কৃতজ্ঞ।’ কেন বিপিএলের শুরুর দিকে অফ ফর্মে ছিলেন সেটার নেপথ্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন ইভান্স। বলেছেন, ‘এখানে (বাংলাদেশে) আসার পর শুধু গতকালই (রোববার) ভালোভাবে অনুশীলন করতে পেরেছি। এপিএল (আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ) ও টি-টেন লিগ খেলার পর বিয়ের জন্য কিছুদিন বাইরে ছিলাম। তাই ছন্দ নিয়ে এখানে পাসতে পারিনি।’