চলতি সপ্তাহে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। সোমবার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানেরি বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর তালিকা প্রকাশ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে ইতোমধ্যে ফলাফলের খসড়া তৈরি করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। চলতি সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করার কথা ভাবছে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন আইনি জটিলতায় তালিকা প্রকাশ আটকাবে না।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশফাক হুসেন বলেন, আদালতের নির্দেশেই শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ করা হয়েছে। বয়সসীমা নির্ধারিত হওয়ায় যারা আবেদন করতে পারছেন না তারা নতুন করে হাইকোর্টে ৮টি রিট করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৭টি খারিজ করেছি।
তিনি জানান, ‘ফলাফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, বর্তমানে তা যাচাই-বাছাই চলছে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেধা তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীকে এসএমএস পাঠানো হবে। পাশাপাশি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইলে এসএমএস ও ই-মেইল পাঠিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বলা হবে।’
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শূন্য আসনের বিপরীতে সারা দেশ থেকে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ৩০ লাখ। মেধা তালিকায় প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধনধারীরা প্রায় ৭ লাখ আবেদনকারী গড়ে ৭টি করে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, ফলাফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেধা তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীকে এসএমএস পাঠানো হবে। পাশাপাশি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইলে এসএমএস ও ই-মেইল পাঠিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বলা হবে। ফলাফল প্রকাশের দুই থেকে তিনদিন পর থেকে যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৫৩৫ শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চলে। তালিকা অনুযায়ী প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশী পৌনে সাত লাখ প্রার্থী প্রায় ৩০ লাখ আবেদন করেছেন। অন্যদিকে, এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থাগিত করতে আদালতে ৮টি মামলা দায়ের করেন বিভিন্ন ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীরা। যার মধ্যে ৭টি খারিজ হয়ে গেছে বলে দাবি এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের।