জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড়ে গিয়ে লাফিয়ে রবি ফ্রাইলিঙ্কের কোলে উঠে যান চিটাগং ভাইকিংস দলপতি মুশফিকুর রহিম। তাদেরকে ঘিরেই উৎসবে মাতেন সতীর্থরা। উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিল যেন ফাইনালে জিতেছেন মুশফিকরা। অবশ্য এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়টা ফাইনালের চেয়েও কোনো অংশে কম নয়। তা ছাড়া বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম সুপারে ওভারে জেতা ম্যাচে আনন্দ তো বাঁধভাঙা হবেই!
সুপার ওভারে গতকাল প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংস করেছিল ১১ রান। জবাবে খুলনা টাইটান্স করে ১০। সুপার ওভারে ১ রানের সুপার জয় পায় ভাইকিংস।
ক্রিকেটের ছোট্ট ফরম্যাটে বেশ অভিজ্ঞ প্রোটিয়া অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিঙ্কও তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেললেন সুপার ওভার। রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষটা রাঙিয়ে দেন ফ্রাইলিঙ্ক।
প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলার রোমাঞ্চ বোঝা গেল তার কন্ঠে, ‘কঠিন পরিস্থিতি ছিল। আমার ক্যারিয়ারের প্রথম সুপার ওভার। বোলিংয়ে মাত্র ১১ রান (আসলে ১২) তাড়া করতে হতো। নিজেকে ভালোভাবে ব্যাক করেছি, আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি। ডেভিড মালান চার মারার পর কিছুটা ভীত হয়েছিলাম কিন্তু আমি জানতাম আমি পরের বলগুলোতে কী করতে যাচ্ছি। অসাধারণ ম্যাচ। শেষটায় আমরা জিতেছি। আসলে এক দলকে তো জিততেই হতো।’
‘আজ আমাদের দিন ছিল। এ জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দলের প্রত্যেকে খুশি। আজকের জয়ের মুহূর্ত সবার আজীবন মনে থাকবে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ কিংবা পুরস্কারের অর্থের জন্য না। আমি বেশ উপভোগ করেছি। প্রতিটি মুহূর্ত ভালো লেগেছে। এ ভালো লাগাটা থাকা জরুরি। দল যত ভালো অনুভব করবে তত ভালো ফল পাবে’- যোগ করেন ফ্রাইলিঙ্ক।