৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৫ দিন আগে আজ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই সারাদেশের ২৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও ১৮টি উপজেলায় নৌ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। সেনাবাহিনী মাঠে নামার মাধ্যমে দলগুলোর অভিযোগ কমে আসবে এমনটাই ধারণা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকতাসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয়। প্রচারের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
এরই মধ্যে সারাদেশে নির্বাচনের প্রচারে নৌকার সমর্থিত প্রার্থীদের মাঠে দেখা গেলেও বিএনপির সমর্থিত ধানের শীষ প্রার্থীসহ অন্যান্যদের ভোটের মাঠে তেমন একটা দেখা যায়নি। তাদের অভিযোগ ছিল প্রচারণার বাধা দেয়া হচ্ছে। সবাইর অপেক্ষা ছিল, সেনাবাহিনী কবে মাঠে নামবে।
গতকাল রোববার আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সারাদেশের ২৮৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে। আর ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা ছিল ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। আর স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। ইসির কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানো হবে কি হবে না এ নিয়ে রাজনৈতিক দুই শক্তি (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) পরস্পর বিরোধী অবস্থানে ছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেনাবাহিনী দেশরক্ষা বাহিনী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষায় কাজ করে বিশেষ সুনাম কুড়িয়েছেন। আশা করি, জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সেনাবাহিনী তাদের উপরে অপিত দায়িত্ব পালন করবেন। আর একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের আশা, ভোটের মাঠ এবার ‘সমতল’ হবে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন রোববার এক বিবৃতিতে এই আশা প্রকাশ করেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে ভোটের মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা কাজ করবেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। অর্থাৎ প্রয়োজন মনে করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের তলব করবেন। এছাড়া ইভিএমের আসনগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন সেনা সদস্যরা।
এদিকে, নির্বাচনের প্রচার এখনো বাকি আছে চারদিন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে সব ধরণের প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। এ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় শেষ হবে সব ধরনের প্রচার। এর আগে প্রচারের সময়গুলো কাজে লাগাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।