ব্রেকিং নিউজ

সেবা খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ৫৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে

সেবা খাতে রফতানি আয় বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশের সেবা খাতে রফতানি আয় এসেছে ১৯৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৬ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইপিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগৃহীত পরিসংখ্যান থেকে মোট তিনটি ভাগে সেবা খাতে রফতানি আয়ের সংকলন করা হয়েছে। এ তিনটি ভাগ হলো— গুডস প্রকিউরড ইন পোর্টস বাই ক্যারিয়ারস, গুডস সোল্ড আন্ডার মার্চেন্টিং ও সার্ভিসেস।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ তিনটি ভাগ থেকে মোট রফতানি আয় হয়েছে ১৯৪ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে আয়ের পরিমাণ ছিল ১২৪ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ হিসাবে সেবা খাতে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সেবায় রফতারি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। জুলাই-অক্টোবর সময়ের বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

এ রফতানি আয়ের মধ্যে ১৯১ কোটি ৩৯ লাখ সরাসরি সেবাখাত থেকে এসেছে। বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়।

অন্য উপখাতগুলোর মধ্যে ‘অন্যান্য ব্যবসায় সেবা’থেকে ৩১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ২০ কোটি ৫১ লাখ ডলার, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সেবা থেকে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলার, বীমা ছাড়া আর্থিক সেবা খাত থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার এবং ভ্রমণ সেবা উপখাত থেকে ১১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া সেবাপণ্যের মধ্যে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস অন ফিজিকাল ইনপুটস, মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিপেয়ার, ট্রান্সপোর্টেশন, কন্সট্রাকশন সার্ভিসেস, ইনস্যুরেন্স সার্ভিসেস, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, চার্জেস ফর দি ইউজ অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি, টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস, আদার বিজনেস সার্ভিসেস, পার্সোনাল-কালচার-রিক্রিয়েশনাল ও গভর্নমেন্ট গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস।

এ বিষয়ে ইপিবির সহকারী পরিচালক মো. রফিফুল ইসলাম বলেন, দেশের স্থল, সমুদ্র বা বিমানবন্দরে বিদেশি পরিবহনগুলো সেসব পণ্য ও সেবা- যেমন জ্বালানি তেল ও মেরামত সেবা- কিনে থাকে সেগুলোকে সেবাখাতের আওতায় ধরা হয়েছে। আর কোনো অনাবাসীর কাছ থেকে পণ্য কিনে একই পণ্য কোনো অনাবাসীর কাছে বিক্রি করাকে মার্চেন্টিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় মোট বিক্রি থেকে মোট ক্রয় বাদ দিয়ে নিট মার্চেন্টিং রফতানি আয় হিসাব করা হয়। সেবাখাতের একক উপখাত হিসেবে সরকারি পণ্য ও সেবা উপখাত থেকে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ৭৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সার্বিকভাবে বিশ্ববাজারে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় করেছে ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৫৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেবাখাত থেকে মোট রফতানি হয়েছে ৪২৬ কোটি ডলার। ওই সময়ে পণ্য রফতানি করে দেশের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের পণ্য ও সেবাখাত মিলে থেকে মোট রফতানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৭৮ কোটি ৭ লাখ হাজার ডলার।

Leave a Reply