ইনিংসের দ্বিতীয় এবং মেহেদি হাসান মিরাজের প্রথম ওভারে চড়াও হয়েছিলেন শাই হোপ। তিন ওভার বাউন্ডারি সাথে ওভারে ২৩ রান। ১৩০ রানের মামুলি টার্গেটকে আরো খর্ব করে আনেন শাই হোপ। আগের দিন ব্রাথওয়েটের চাওয়াটা যেন ভালো ভাবেই অনুধাবন করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকানো শাই হোপ।
শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ইনজুরি হওয়া হোপকে স্ট্রেচারে করে মাঠে আনতে হয়নি। সেচ্ছ্বাসেবক হতে হয়নি ব্রাথওয়েটকে। ৫০ ওভার থেকে টি-২০ ক্রিকেটে ফিরে আরো ভয়ঙ্কর হোপ সেই সাথে নিজেদের চেনা ঢেরায় ফিরে যেন স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললো উইন্ডিজ দল। প্রায় এক মাস ধরে বাংলাদেশ সফরে থাকা দলটি একের পর এক ম্যাচ হেরেই যাচ্ছে। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে এসে প্রথম ম্যাচেই শাই হোপের ঝড়ো অর্ধশতকে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে উইন্ডিজ।
১৬ বলে ৫১ রান তুলেন হোপ। তাঁর ঝড়ো অর্ধশতকে ছিল ৬ ওভার বাউন্ডারি ও ৩ বাউন্ডারির মার। ছোট টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথমবার অর্ধশতক হাঁকানো হোপের এই অর্ধশতক উইন্ডিজের জার্সিতে টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম। ২৩ বলে ৫৫ রান করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে ডিপ এক্সট্রা কাভারে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন শাই হোপ।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তাঁর ঝড়ো ইনিংস খেলার মেয়াদ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ৬১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১২৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল। তাকে ব্যক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে পাঠান কট্রেল। টিকতে পারেন নি আরেক ওপেনার লিটনও। দলীয় ১৯ ও ব্যক্তিগত ৬ রানে তাকে আউট করেন ক্যারিবিয়ান গতিদানব ওশানে থমাস। ওয়ানডে ফরম্যাটে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেও সৌম্য এদিন ছুঁতে পারেন নি দুই অঙ্কের ঘর। তবে অধিনায়ক সাকিবের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত ১২৯ রান তুলতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের ৬ বল বাকি থাকতেই গুঁটিয়ে যায় টাইগাররা। ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিলে এদিন সাকিবকে সঙ্গ দিয়েছিলেন ১২ রান করা রিয়াদ ও ১৭ রান করা আরিফুল। মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম রান আউটের ফাঁদে পড়েন।বল হাতে কট্রেল নেন ২৮ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া কেমো পাল নেন ২টি উইকেট।টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ হারার পর অবশেষে বাংলাদেশ সফরে জয়ের মুখ দেখলো উইন্ডিজ ক্রিকেট দল।