মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- এই পাঁচজন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পঞ্চপান্ডব। বাংলাদেশ দলের অনেক অর্জনের কান্ডারি তাঁরা। আগামীকাল (১১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার এই পাঁচজন একসঙ্গে খেলতে নামলেই হয়ে যাবে সেঞ্চুরি! এখন অব্দি তিন ধরনের ফরম্যাট মিলে এই পাঁচজন একসঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৯৯ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে।
এই পাচজনের মধ্যে বাংলাদেশ দলে সবার আগে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ দলের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অভিষেক ২০০১ সালে টেস্ট দিয়ে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। ২০০৬ সালে ওয়ানডে দিয়ে সাকিব আল হাসান খেলা আরম্ভ করেন বাংলাদেশের হয়ে। ২০০৭ সালে তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। তামিমের মতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও ওয়ানডে অভিষেক ২০০৭ সালে।
২০০৭ সালে মাহমুদউল্লাহ’র অভিষেকের পর থেকে এই পাঁচজন একসঙ্গে খেলছেন নিয়মিতই। ২০০৯ সালে উইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। কিংস্টনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অভিষেক টেস্ট এখন পর্যন্ত মাশরাফি বিন মর্তুজার খেলা শেষ টেস্ট। এই একমাত্র ম্যাচেই সাদা পোশাকে মাঠে একসঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন পঞ্চপান্ডব। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৯৫ রানে।

২০১৭ সালের এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির অবসর নেওয়ার আগ অব্দি বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চপান্ডব মোট টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২৯ টি। ২৯ টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১২ টিতে জয়ের দেখা পাওয়া বাংলাদেশ দল হেরেছে ১৬ টিতে, ফলাফল আসেনি ১ টি ম্যাচের।
এখন অব্দি এই পাঁচজন একসঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ৬৯ টি। এই ফরম্যাটে জয়ের পাল্লাই ভারি। ৩২ টি পরাজয়ের বিপরীতে জয় ৩৪ টিতে। কোন ফলাফল আসেনি ৩ টি ম্যাচে। এই পাঁচজনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব এসেছে দলীয় সাফল্যে।
পাঁচজনের মধ্যে ব্যক্তিগত সাফল্যে অবশ্যই সবার উপরে থাকবে সাকিব আল হাসানের নাম। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে তিনি। ৯৯ ম্যাচে ৩৫.০২ গড়ে সাকিব করেছেন ২৭৬৭ রান, ২৮.৬৮ গড়ে তুলে নিয়েছেন ১২২ উইকেট।
শুধু ব্যাটিং হিসাব করলে নিঃসন্দেহে সবার উপরে তামিম ইকবাল। এই ৯৯ ম্যাচে ৪১.২৭ গড়ে তামিমের রান ৩৭১৫। বোলিং হিসাব করলে সেরার তকমা মাশরাফির গায়ে। ৯৯ ম্যাচে ২৭.৭৬ গড়ে ১২৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন ম্যাশ, এছাড়া ব্যাট হাতে ১৩.০১ গড়ে ৬৬৪ রান করেছেন তিনি।
আত্মীয়তার সম্পর্কে আবদ্ধ থাকা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদানও অনস্বীকার্য। ৯৯ ম্যাচে ৩২.৭৫ গড়ে ২৪৮৯ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ধরেছেন ৭৩ টি ক্যাচ, স্টাম্পিং ২৬ টি। আইসিসি টুর্নামেন্টে ৩ সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩০.০৬ গড়ে করেছেন ১৮৬৪ রান, ৪৩.৪৫ গড়ে ৩১ উইকেটও নিয়েছেন দলের প্রয়োজনে হাত ঘোরানো এই সাইলেন্ট কিলার।
তথ্য ও সূত্র :ক্রিকেট ৯৭