৩৩২ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ রান মাত্র ৯ ওভারে। ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। তবে অবিচল থাকেন তামিম ইকবাল।
ইনজুরি থেকে ফিরেই ব্যাট হাতে মারকুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন শতক। ৭৩ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে আছে ১৩ বাউন্ডারি ও ৪ ওভার বাউন্ডারির মার। রোস্টন চেসের বলে হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তামিম। তাকে অনুসরণ করে ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৭৫ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান সৌম্য সরকার। অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে।
জোড়া দুই সেঞ্চুরির পর ৪ উইকেটে জয়ের পথে ছিল বিসিবি একাদশ। কিন্তু আলোক স্বল্পতায় ম্যাচ আর শেষ হয়নি। যার কারণে পূরণ হয়নি ৩৩২ রানের জয়ের লক্ষ্য।
৪১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান সংগ্রহ করা বিসিবি একাদশ এগিয়ে ছিল ৫১ রানে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের হিসেবে। যার কারণে মাঠে বল না গড়ালেও ডি-এল মেথডে ৫১ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয় বিসিবি একাদশকে।
সৌম্য ১০৩ ও মাশরাফী ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। উইন্ডিজের হয়ে বিশু ও চেস ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৩১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় রোভম্যান পাওয়েলের দল। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল।
ম্যাচের শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রাখেন উইন্ডিজের দুই ওপেনার। উদ্বোধনি জুটিতে দলীয় স্কোরে তাঁরা যোগ করেন ১০১ রান। এরপর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ফিরে যান পাওয়েল।
ব্যক্তিগত ২৭ রানে থাকা ব্রাভোকে ফেরান মেহেদি হাসান রানা। এর ঠিক পরের ওভারেই গলার কাটা হয়ে থাকা ওপেনার শাই হোপকে ৭৮ রানের মাথায় আউট করেন নাজমুল ইসলাম অপু। অপুর বলে হোপকে সাজঘরের পথ দেখাতে স্টাম্পিং করেন আকবর আলি। তারপর পাওয়েল-হেটম্যায়ার’রা দ্রুত বিদায় নিলে ২১৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ।
সেখান থেকে রোস্টন চেজ ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। পরে রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে অ্যালেন ৪৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলে ২৯৩ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয় ক্যারিবিয়ানদের। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রানের সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। দলের হয়ে রোস্টন চেজ অপরাজিত থাকেন ৬৫ রান নিয়ে।