ব্রেকিং নিউজ
Bangladesh's Shadman Islam (C) and Mohammad Mithun(L) run between the wickets during the first day of the second Test cricket match between Bangladesh and West Indies in Dhaka on November 30, 2018. (Photo by Salahuddin Ahmed / AFP)

দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২৫৯

শুক্রবার সকালে মিরপুরের উইকেট দেখে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এই উইকেটে রান তোলা মুশকিল হবে। সেটা কতটা মুশকিল তা প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে বোঝা গেল। সারাদিনে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান তুলতে পেরেছে টাইগাররা। গড়ে ২.৮৭। তাও দিনের শেষ ১০ ওভারে কিছুটা গতি পায় রান। এসময় ওভার প্রতি ৩.২০ রান ওঠে।

এদিন টস জিতে শুরু থেকেই রয়ে সয়ে ব্যাট করতে থাকে বাংলাদেশ। রানের চেয়ে উইকেটে টিকে থাকার বিষয়েই যেন আগ্রহী ছিলেন সবাই। কিন্তু এক সাদমান ইসলাম ছাড়া টপ অর্ডারের আর কোন ব্যাটসম্যানই উইকেটে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। অবশ্য দিন শেষে অপরাজিত আছেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। ১১৩ বল খেলে সাকিব অপরাজিত ৫৫ রানে। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ৫৯ বলে অপরাজিত আছেন ৩১ রানে।

এদিন অভিষেক টেস্টে নেমেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাদমান। তবে ৭৬ রানেই থেমে গেছে তার অভিষেক ইনিংসটি। কিন্তু বড় ধীর গতির ছিল তার ইনিংসটি। খেলেছেন ১৯৯টি বল, যাতে ৬টি ছিল চারের মার।

এদিন টাইগারদের আউটের শুরু হয় সৌম্যকে দিয়ে। তিনিও স্বভাব বিরুদ্ধ ধীর গতিতেই খেলছিলেন। মনে হচ্ছিল বড় ইনিংস খেলার প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নেমেছেন। কিন্তু ৪২ বলে ১৯ রান করতেই থেমে যান তিনি। রোস্টন চেজের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই বা-হাতি ওপেনার।

এরপর মুমিনুল হক এসেও খেলতে থাকেন ধীরেসুস্থে। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগমুহূর্তে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তার। ক্রেমার রোচের একটি শটপিচ বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন মিড অনে। আর সেটি তালুবন্দি করেন চেজ। ব্যক্তিগত ২৯ রানে বিদায় নেন মুমিনুল। তিনি খেলেছেন ৪৬ বল।

মুমিনুলের পর মিঠুনের পালা। এদিন তিনি খেলেছেন ৬১ বল। রান ২৯। তারপরই দেবেন্দ্র বিশুর বলে বোল্ড। তার আগে সাদমানের সাথে গড়েছিলেন ৬৪ রানের একটি জুটি।

মিঠুন ফিরে গেলে সাদমানও বেশিক্ষণ থাকেননি ক্রিজে। যখন মনে হচ্ছিল অভিষেক সেঞ্চুরি করেই ফেলবেন সাদমান। তখনই বিশুর এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় সাদমানকে।

আর বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেট হিসেবে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহীম। এদিন দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। কিন্তু দিনের ইনিংসটি খুব বেশি দীর্ঘ করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে লুইসের এলবিডাব্লুর শিকার হন মুশফিক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে) :
বাংলাদেশ : ২৫৯/৫ (৯০ ওভার) (সাদমান ৭৬, সৌম্য ১৯, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ২৯, সাকিব ৫৫*, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৩১*; রোচ ১/৩৮, লুইস ১/৩৫, চেজ ১/৬১, ওয়ারিকাম ০/৪৬, বিশু ২/৬৯, ব্রেথওয়েট ০/৮)।

Leave a Reply