টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে রাতদিন পরিশ্রম করেছেন ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
নিবেদিতপ্রাণ সেসকল কর্মকর্তারা ক্রিকেটার অন্বেষণ করেছেন, ক্রিকেটারদের গড়ে তুলেছেন, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কর্মকর্তাদের একজন শহীদুল ইসলাম।
আজকের সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা প্রত্যেকেই বয়সভিত্তিক দলে পেয়েছেন তাকে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রত্যেককে ক্রিকেটের অলিগলি দেখিয়েছেন। বিসিবির গেম ডেভেলাপমেন্ট কমিটির সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এ কর্মকর্তার সঙ্গে থাকতেন বড় ছেলে সাদমান ইসলাম।
সাকিব, তামিমদের অনুশীলন বা ক্যাম্প দেখাতে সব সময় ছেলেকে সঙ্গে রাখতেন শহীদুল। বুকে একটা স্বপ্ন লালন করেছেন সব সময়, ছেলেও একদিন প্রতিনিধিত্ব করবে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে।’
দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শহীদুল। ছেলে সাদমান ইসলাম বাংলাদেশের ৯৪তম ক্রিকেটার হিসেবে পেয়েছেন টেস্ট ক্যাপ। বাবার হাত ধরে মাঠে আসা। বাবার হাত ধরে ক্রিকেট শেখা। প্রিয় শিক্ষক ওই বাবা। অনুপ্রেরণার নাম ওই বাবাই।
বাবার স্বপ্ন পূরণের দিনে সাদমান প্রশংসায় ভাসালেন বাবা শহীদুল ইসলামকে,‘আমার উঠে আসার পিছনে আব্বুর ভূমিকা সবথেকে বড়। আব্বু সব সময় ক্রিকেটে সহযোগীতা করেছেন। আমি সব সময় ক্যাম্পে যেতাম। অনূর্ধ্ব ১৫-১৭ ক্যাম্পে সব সময় আমাকে নিয়ে যেতেন।
তখন আমি ছোট ছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলছে….আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সহযোগীতা করেছে খেলার জন্য। কিভাবে খেলতে হয়, কিভাবে লাইফ সেট করতে হয় ক্রিকেটারদের…ওগুলো আমাকে এখনও বলে। নিজেকে চেষ্টা করি ওভাবে রাখার।’
দুই দশক যে স্বপ্নকে শহীদুল ইসলাম লালন করেছেন তা পূরণ করেছেন সাদমান। আজতো বাবা-ছেলের গর্বের দিন।