সুজন দাশ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :গত কদিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র হাতে দোকান ঘর দখলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এটি বিভিন্ন অনলাইন সোসাল গ্রুপে ও পোস্ট করা হয়েছে।
এটি ঘটেছে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা থানার লিচু বাগান নামক জায়গায়।এর পরপরই বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়,ভিডিওটিতে প্রকাশিত বয়স্ক মৌলানা টাইপের যে লোকটিকে অস্ত্র হাতে তেড়েদেখা যাচ্ছে তার নাম সেকান্দর ড্রাইভার প্রকাশ( কালাইয়া)। এতে আরো রামদা হাতে যে মহিলাটিকে দেখা যায়, সেটা তার স্ত্রী,যে যুবকটিকে বেশী আক্রমাত্বক দেখা যাচ্ছে তার নাম শহিদ প্রকাশ নেতা শহিদ৷
ঘটনার সরজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা যায়। চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অমল দাস দুই কাটা জায়গার উপর তিনটি পাকা দোকান নির্মান করে দুটি ভাড়াতে আরেকটিতে তার সন্তানকে নিয়ে ফার্মেসির ব্যবসা করে আসছিল। গত ছয়মাস আগে থেকে বিভিন্ন কৌশলে জায়গাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল সেকান্দর ড্রাইভার ওরপে কালাইয়ে। কিন্তু কোন সুযোগ না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে হাত করে জায়গাটির অবৈধ দখল হাতে পাওয়ার জন্য।
আক্রান্ত ভিকটিমের নিকট প্রতেবেশী হারাধন জানান, গত ২৬ নভেম্বর”১৮ তারিখ সোমবার সন্ধার সময় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সেকান্দর ড্রাইভার ওরপে কালাইয়ের সন্ত্রাসী শহিদ ওরপে নেতা শহিদ তার বাহিনী নিয়ে নিরিহ অমল দাসের ফার্মেসিতে ভাঙছুর মারধর করে ফার্মেসিসহ তিনটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।
ওনার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায় ভিডিও তে,এতে দেখা যায় একজন বোরখা পড়া মহিলা যিনি সেকান্দর ড্রাইভার ওরপে কালাইয়ের স্ত্রী তার হাতেও রামদা যেটা নিয়ে সেই বারবার তেড়ে যাচ্ছিল বৃদ্ধ অমল দাস ও তার ছেলের দিকে৷ প্রান বাছানোর ভয়ে দোকানের ভিতর চুপ করে বসেছিল অমল দাস ও তার সন্তান। এসময় স্হানীয়রা তাদের কোন রুপ সহায়তা করতে দেখা যায় নি।
সেকান্দর ড্রাইভার ওরপে কালাইয়ের দাবী জায়গাটি নাকি চট্টগ্রাম শহরের ফিরিঙ্গি বাজারে বাসিন্দা জানে আলম দোভাষ থেকে ক্রয় সূত্রে নিয়েছে। অথচ এই জায়গাটিসহ ৩২০ শতক জায়গার জন্য জানে আলম দোভাষের সাথে চন্দঘোনা লিচুবাগান জায়গা মালিক সমিতির সাথে গত ৩০ বছর থেকে আদালতে মামলা চলতেছে।
যা এখনো অ-মিমাংসিত যদিওবা হাইকোর্ট থেকে একটা রুল জারি আছে জায়গাগুলির মামলা যতদিন পর্যন্ত শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত জায়গাগুলোর মালিক উক্ত জায়গা যাদের কাছে আছে তারা৷
এইখানে হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে শক্তি প্রয়োগ করে জোর করে আমাদের পরিবারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন অমল দাশ এর পরিবারের সদস্যরা।
অমল দাস জানান, চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম, তারা কোন সুরেহা করতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি ও না বলে দেন পরে অমল দাস থানায় অভিযোগ করেন৷
ঘটনার সরোজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়
এখনো দোকানে তালাবদ্ধ রয়েছে। এলাকায় থম থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এলাকার সনাতনীদের অভিযোগ। আশংকা সামনেই একাদশ সংসদীয় নির্বাচন। এসময়ে সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের উপর এমন নির্যাতনে ভোটের স্বাভাবিক পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। তারা ঘটনার তদন্ত পূর্বক দ্রুত বিচার দাবী করেন।