ব্রেকিং নিউজ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অসহায় বৃদ্ধাকে ভিটা ছাড়া করার প্রচেষ্টার অভিযোগ


সুজন দাশ, চট্টগ্রাম।
বিচারের বাণী কাঁদে নিভৃতে, অসহায় বৃদ্ধার চোখে জল দেখার নেই কেউ।
চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানাধীন ৮নং ইউনিয়নের কেয়াগড় গ্রামে এক গরিব অসহায় ভিক্ষুক আশি উর্ধ বৃদ্ধা মন্টু বালা দত্ত, তার একমাত্র কন্যা গীতা বালা দত্ত ও নাতি ইমন কে নিয়ে তাদের গরিবের সংসার।

একমাত্র সম্বল তাদের বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে ভিটা দখল করার প্রচেষ্টা করছে সেখানকার স্থানীয় সারদা চরনের প্রভাবশালী ওয়ারিশগন।
তারা বৃদ্ধাদ্বয়কে নানা ভাবে হুমকি, ধমকি ও হয়রানি করেই ক্ষান্ত হননি বরং জোর পূর্বক তাদের বসত জায়গার উপর পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন, ইতিমধ্যে অসহায়দের চলাচল, পুকুর ও শৌচালয়ে যাওয়ার পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলকারী পরিবার। এতে অসহায় বৃদ্ধাগন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এসব কিছুর পরও প্রভাবশালীরা গীতা বালা দত্তের একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তান ইমন দত্তকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে যাতে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায় যাতে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে।। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিত পরিবার কিছুই করতে পারছে না।

কিছু দিন আগে একজন সহৃদয়বান ব্যক্তির সহায়তায় বৃদ্ধাগন আদালতের শরণাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং আনোয়ারার ইউএনও গৌতম বাড়ৈ মহোদয় নিজে স্বশরীরে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় আনোয়ারা থানার এসআই জনাব নুরুল আমিনকে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ চালু করায় তিনি দুইজনকে গ্রেফতারও করেন। পরবর্তীতে প্রভাবশালীরা এসআইয়ের সাথে সমঝোতা করে পূনরায় স্থাপনা নির্মাণ করা শুরু করেছে। এদিকে অসহায় বৃদ্ধাগন হারাতে বসেছে তাদের একমাত্র সম্বল বসতভিটা ঘর।

আনোয়ারার সচেতন এলাকাবাসীর দাবী একটাই। মাননীয় আদালত ঐ বসতবাড়ি তথা জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, যেন কোন পক্ষ’ই ঐ জায়গায় কোনধরণের কাজ না করেন, কিন্তু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এই যে, আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে যেই পুলিশকর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছে তাকে ম্যানেজ করে অর্থশালী প্রতিপক্ষ কাজ চালিয়ে তাদের দখলদারিত্ব পাকাপোক্ত করেই চলছে যা আদালতের নির্দেশনা’কে অসম্মান করা এবং আদালত অবমাননার সামিল!

বসতবাড়ি রক্ষায় অসহায় ভিক্ষুক পরিবারের এখন একমাত্র পথ এই যে, আদালত বা ন্যায় বিচারের দিকে তাকিয়ে থাকা, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালত যেন তাদের বসতবাড়ি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখেন। আর এ ধরণের বাহুবল প্রয়োগকারীদের যেন আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাজা প্রদান করা হয়, যেন দ্বিতীয় কোন অসহায়ের উপর তাদের বাহুবল প্রয়োগ করতে না পারে।

বসতবাড়ি বাঁচাতে অসহায় ভিক্ষুকের আকুতি যেন সকলের কানের পৌঁছায় এটাই কামনা করেন এলাকার সনাতনী সমাজ।

Leave a Reply