প্রথম দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত যে ভুল হয়নি, শুরুর ব্যাটিং দেখলে তা বোঝাই যায়। দলের ঝুলিতে তখন ২২১ রান, উইকেট হারিয়েছে তিনটি। মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। এরপরই চিত্রটা পাল্টে যায়, মুমিনুল শতক করে সাজঘরে ফিরতেই দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। মাত্র ১৩ মধ্যে শেষ চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর অভিষিক্ত নাঈম হাসান ও স্পিনার তাইজুলের ৫৬ রানের জুটি দিন শেষে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১৫। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে মাত্র ১০ রান যোগ করে শেষে বাংলাদেশের বাকি দুই উইকেট।
বৃস্পতিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে টস ভাগ্যে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন ইমরুল কায়েস। শুরতে টাইগার শিবিরকে হতাশ করেন সৌম্য। দলীয় স্কোর শূন্যতে ফিরেন সৌম্য। এরপর কায়েসের সাথে ব্যাট হাতে ‘প্রিন্স অব কক্সবাজার’। চৌধুরী সাহেবের মাঠে মুমিনুলের ব্যাট হাসে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অস্টম সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে থাকা ইমরুল কাটা পড়েন ৪৪ রানে। পরে মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে এসে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
মিঠুনের বিদায়ের পর ১১৬ রানে গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মুমিনুল। এরপর ক্যাপ্টেন সাকিবের সাথে ব্যাট হাতে এসে চরম হতাশ করেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিম। মাত্র চার রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। হতাশ করেন মাহমুদুল্লাহও। তিনি সাজঘরে ফিরেন ৩ রান করে। পরে ৩৪ রানে সাকিব এবং ২২ রানে কাটা পড়েন মিরাজ। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৯। আর তাতে চরম বিপদে বাংলাদেশ।
এমন অবস্থায় বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান অভিষিক্ত নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। আর তাতে ৩০০ অতিক্রম করে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ৩১৫। গতকাল নাঈম ২৪ এবং তাইজুল ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন ক্যাট করতে নেমে ১ রান
যোগ করে সাজঘরে ফিরেন অভিষিক্ত নাঈম। এরপর ব্যাট হাতে এসে শূন্য (০) রানে কাটা পড়েন পেসার মোস্তাফিজ। এক প্রান্তে আগলে থাকা তাইজুল আজ ৬ রান যোগ করে অপরাজিত ৩৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। আর তাতে বাংলাদেশের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২৪।