ব্রেকিং নিউজ

অল্পতেই অলআউট উইন্ডিজ দেখেনিন কত রানের লিড পেল বাংলাদেশ

৩১৫ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন নাঈম হাসান এবং তাইজুল ইসলাম। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান হাসানসংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। নাঈম হাসান ২৬ এবং তাইজুল ইসলাম ৩৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার। তবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ইমরুল কায়েস এবং মমিনুল হক। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় ৪৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইমরুল কায়েস। দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় ২০ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন।

ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মমিনুল হক সৌরভ। ১৩৫ বলে নয় টিচার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে এই সেঞ্চুরি করেন মমিনুল। এই সেঞ্চুরি করে নতুন একটি ইতিহাস গড়লেন মমিনুল হক। তামিম ইকবাল এর সমান ৮ টি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হলেন মমিনুল।

বাকিরা যেখানে সর্বোচ্চ দুটি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সেখানে শুধু কোহলি আর মুমিনুলই এ বছর চারটি করে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আর এই পথে মুমিনুল বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানটিকে পেছনে ফেলেছেন ইনিংসের হিসেবে। ২০১৮ সালে এ পর্যন্ত চারটি সেঞ্চুরি করতে কোহলি খেলেছেন ১৮টি ইনিংস। মুমিনুল (১৩ ইনিংস) তাঁর চেয়ে ৫ ইনিংস কম খেলেই চার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ভারতীয় অধিনায়ককে (৫৮.৭৯) স্ট্রাইকরেটেও পেছনে ফেলেছেন মুমিনুল (৬৬.৫৫)।

উইন্ডিজঃ ২৪৬/১০ উইকেট নাইম হাসানঃ ৫ উইকেট।বাংলাদেশ ৭৮ রানের লিড পেয়েছে
তবে সেঞ্চুরি পড় বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি মমিনুল হক। টি ব্রেক থেকে ফিরেই দলীয় ২২২ রানের মাথায় ১২০ রান করে গ্যাব্রিয়েলের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মমিনুল হক। আরে বিপদে বিপদে পড়ে বাংলাদেশে দল। ৯ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

একটি ৪ মেরে একই ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিকর রহিম। এবং তিনজন করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই তিনটি উইকেট তুলে নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।
এরপর ৬১.৫ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোল্ড করেন গ্যাব্রিয়েল। সাত বলে তিন রান করেন রিয়াদ। ৬৩.৫ ওভারে সাকিব আল হাসানকেও বোল্ড করে ফেরান গ্যাব্রিয়েল।

সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ইনিংসের ৭৩তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোল্ড করেন জোমেল ওয়ারিকান। মিরাজ করেন ২২ রান। বাংলাদেশের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৫৯ রানে। এরপর ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। টেস্টে তাইজুলের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ৩২।

Leave a Reply