চট্টগ্রাম টেস্টের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজের মধ্যকার পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মোমিনুল, কায়েস ও সাকিবের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে বাংলাদেশ, কায়েস ৪৪, মোমিনুল ১২০ ও সাকিব ৩৪ রান করে আউটের মাধ্যমেই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংস, শুরুতে সৌম্য শুণ্য রানে আউটের পর মিথুন ২০, মুশফিক ৪ ও রিয়াদ ৩ ও মিরাজ ২২ রান করে আউট হলে মাত্র ২৫৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশের হাল ধরেন অভিষিক্ত নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম।
প্রথম দিন শেষে দুজনে অবিচ্ছন্য ৫৬ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত আছেন। ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের। নাঈম হাসান ২৪ ও তাইজুল ইসলাম ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
৩ উইকেটে ২২২ রান থেকে শ্যানন গ্রাবিয়েলের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ২৩৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা, মিরাজ ও সাকিব ২৪ রানের জুটি গড়ে বড় জুটি গড়ার আভাস দিলেও সাকিব ৩৪ ও মিরাজ ২২ রানে আউট হন। উইন্ডিজের হয়ে পেসার গ্রাবিয়েল ৪, রোচ ১, ওয়ারিক্যান ২ ও দেবেন্দ্র বিশু ১ উইকেট শিকার করেন। ২ উইকেট হাতে রেখে ২য় দিনে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
দুজনের পরিচয় বিশেষজ্ঞ বোলার, তাইজুল অভিজ্ঞ হলেও অভিষিক্ত নাঈমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ব্যাটসম্যানদের লজ্জাটা পেতেই হলো, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট বা স্বীকৃত ক্রিকেটে কোন ফিফটি নেই নাঈমের, চারদিনের ম্যাচে ৪৩ রান তার সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকেই দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে যেভাবে প্রতিরোধ গড়লেন, কে বলবে জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী এক ক্রিকেটার, তাও আবার বিশেষ বোলার হিসেবে অভিষেক।
মাত্র ২৫৯ রানে ৮ উইকেট পতনের পর ৩০০ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত, এমন অসম্ভবকেও সম্ভব করেছেন দুই স্পিনার, বোলিংয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালনের আগে ব্যাট হাতেই দলকে চাপমুক্ত করেছেন, আগামীকাল ২য় দিনে আরো ৫০ রান যদি দুজনে সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত ভাবেই এগিয়ে থেকে বোলিং করতে পারবে বাংলাদেশ, ৩১৫ রানের দলীয় সংগ্রহটাকে কতদূর নিতে পারবেন দুজন, সে প্রশ্ন সময়ের হাতেই তোলা রইল।