তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মাশরাফি মনোনয়ন ফরম কিনলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন সাকিব আল হাসান। সাকিব জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মাশরাফির মনোনয়ন এবং আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে কথা বলেন নাজমুল হাসান পাপন। এবার সাকিবের নির্বাচন প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন বিসিবি বস।
সাধারণত খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে তবেই রাজনীতিতে যোগ দিয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা, অন্তত উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে। মাশরাফির খেলোয়াড়ি জীবন শেষের দিকে হলেও সুস্থ থাকলে সাকিব ক্রিকেট মাঠ মাতিয়ে যেতে পারবেন আরও অনেক বছর। তাই সাকিবের এখনই রাজনীতিতে যোগদান ইতিবাচকভাবে নিতে পারছিলেন না অনেক ক্রিকেট সমর্থক। ‘সাকিবও নির্বাচনে আগ্রহী ছিল। আমরা মনে করি আরও ৪-৫ বছর সে জাতীয় দলে খেলতে পারবে। তাই তাকে এবার নির্বাচন করতে না করা হয়েছে। অপরদিকে মাশরাফি হয়তো বিশ্বকাপের পরই অবসরে যাবে, ফলে রাজনীতির মাঠে সে বেশি সময় দিতে পারবে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন থেকে পরবর্তীতে রাজনীতিতে লেখানোর দৃষ্টান্ত কম নেই। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে প্রার্থিতা করবেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি। তবে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার আগেই, যা দেশের ক্রিকেট কিংবা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দৃষ্টান্ত।