সিলেটের মতো ঢাকা টেস্টেও দুর্বার তাইজুল ইসলাম। সিলেটের ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে ১১ উইকেট শিকার করা তাইজুল, ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টানা তিন ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করে ইতিমধ্যে সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক জুনিয়রকে স্পর্শ করেছেন তাইজুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের আর মাত্র ৫ উইকেট শিকার করলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে রেকর্ড গড়ার সুযোগ থাকবে তাইজুলের। তার চেয়েও বড় কথা হলে তিনি যদি ঢাকা টেস্টে আরও ৭ উইকেট শিকার করতে পারেন তাহলে বিশ্ব রেকর্ড হবে।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মঙ্গলবার এই বাঁ-হাতি স্পিনার বলেন, আসলে উইকেটের যা অবস্থা, আমি যদি আমার পরিকল্পনা অনুসারে বল করেতে পারি তাহলে অসম্ভব কিছুই না। আমি আশাবাদী।
টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করা প্রসঙ্গে তাইজুল বলেন, ভালো পারফরম্যান্স করলে প্রতিটা ক্রিকেটারের ভালো লাগে। তবে ব্যক্তির ভালোর চেয়ে দলটা আগে। দলটা এখন ভালো অবস্থানে আছে, এটাই বড় কথা। তাই আরও বেশি ভালো লাগছে।
ঢাকা টেস্টে মুশফিকুর রহিমের ডাবল (২১৯) এবং মুমিনুল হক সৌরভের সেঞ্চুরিতে (১৬১) ভর করে ৭ উইকেটে ৫২২ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে একাই টেনে তুলেন ব্রান্ডন টেইলর। সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক ইনিংস লম্বা করার পথেই ছিলেন। তার সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান তাইজুল।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লগ সুইপ করছিলেন টেইলর। শূন্যে লাফিয়ে ক্যাচটি মুঠোবন্দি করেন তাইজুল। এদিন ৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেন তাইজুল।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ১০ উইকেটে ৩০৪ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১০ রান করেন টেইলর। ৮৩ রান করেন পিটার মুর। ৫৩ রান করেন চেরি। কাইল জার্ভিস ৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। টেন্ডাই চাতারাকে নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করার কথা ছিল তার।
কিন্তু ফিল্ডিং করার সময়ে ডান পায়ের পেশিতে টান পাওয়া চাতারা স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাট করার সম্ভাবনা নেই। তাই ৩০৪ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ জিম্বাবুয়ের। স্বাগতিক বাংলাদেশ থেকে ২১৮ রানে পিছিয়ে থাকায় জিম্বাবুয়ে ফলোফনে পড়েছে।