এএস রুবেলঃ
উইলিয়ামসকে কাট করে বল যখন সীমানা পার করলেন তখন মমিনুলের নামের পাশে যোগ হয়ে গিয়েছে এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩ তম ফিফটি।ফিফটির পর ব্যাট উঁচু করেননি মমিনুল।
সেঞ্চুরির পরেও যে মমিনুল আহামরি উৎযাপন করেছে ব্যাপারটা সে রকমও নয়। রাজার ফুলটস বলটা সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরলেন,মাঝ উইকেটে গিয়ে সঙ্গী মুশফিককে জড়িয়ে ধরলেন।মমিনুল তার সেঞ্চুরি উৎযাপনটা সীমাবদ্ধ রাখলেন এখানেই।
ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পরই এসেছিলেন উইকেটে।মমিনুল কিছু বুঝে ওঠার আগেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ,দলের রান তখন ২৬।টাইগার শিবির তখন আবারো শঙ্কায় অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার,রেকর্ড বই মনে করিয়ে দিচ্ছে সর্বশেষ ৮ ইনিংসে দলীয় রান দুইশত পার করতে পারেনি বাংলাদেশ।মমিনুলেরও এই ৮ ইনিংসে মোট রান ৬৯,যার সর্বোচ্চ ৩৩।
দুর্দান্ত সব শটে সব শঙ্কা দূর করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই লিটল মাষ্টার। ৯২ বলে তুলে নিলেন অর্ধশতক,ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নিতে পরে খেলেছেন আরও ৫৮ বল।
সব চাপ জয় করে শেষ বিকালে মমিনুল যখন আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তখন তার নামের পাশে ঝকঝক করছে ১৬১ রান,যেটা মিরপুর ষ্টেডিয়ামে কোন বাংলাদেশীর সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস।
এই সেঞ্চুরিযাত্রায় মুশফিকের সাথে গড়েছেন ২৬৬ রানের জুটি। বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেছে এই দুজনের জুটিই। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। আগের রেকর্ড জুটিতেও ছিলেন মুমিনুল। বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মুমিনুল ও লিটন দাস গড়েছিলেন ১৮০ রানের জুটি।