নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে চলছিল ইনজুরি সময়ের খেলা। স্কোর বোর্ডে তখন আবাহনী : ২, আরামবাগ : ২। যে কোনো মুহূর্তে লম্বা বাঁশি বাজাতে বারবার হাতের ঘড়ি দেখছিলেন রেফারি সুজিত ব্যানার্জি চন্দন। ঠিক তখনই নাটকীয়ভাবে গোল করে ৩-২ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে নিলো আবাহনী। নাবীব নেওয়াজ জীবনের ফ্রি-কিকে তপু বর্মনের ডাইভিং হেড থেকে বল ধরে গোল করে আবাহনীকে সেমিফাইনালে তোলেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট।
বেলফোর্ট অফসাইডে ছিলেন- এমন দাবি করে প্রতিবাদ জানান আরামবাগের খেলোয়াড়রা। শেষ বাঁশির পর দলের কয়েকজন খেলোয়াড় ঘিরে ধরেন রেফারি ও সহকারী রেফারিদের। এ সময় ডাগআউট থেকে আরামবাগের অফিসিয়াল ও বলবয়রা দৌড়ে গিয়ে রেফারি ও তার সহকারীদের উপর চড়াও হন। আরামবাগের বেশি ক্ষোভ ছিল সহকারী রেফারি হারুনুর রশিদের উপর। তিনিই ছিলেন ওই প্রান্তের সহকারী। পানির বালতি দিয়ে পুলিশের সামনেই সহকারী রেফারিকে পিটিয়েছেন আরামবাগের লোকজন।
গোল-পাল্টা গোলে জমজমাট ছিল ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল। ৭ মিনিটে চিনেদু মেথুর ক্রস পল এমিল বুকে থামিয়ে ব্যকাপাস দেন শাহরিয়ার বাপ্পিকে। আরামবাগের এ মিডফিল্ডার গড়ানো শটে কাঁপিয়ে দেন আবাহনীর জাল। ৩০ মিনিটে সানডের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে আরামবাগের রক্ষণভাবে ঢুকে শট নেন বেলফাস্ট। গোলরক্ষকের বুকে লেগে ফেরত আসলে সানডে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করে আবাগহনীকে ম্যাচে ফেরান।
দুই মিনিট পরই পেনাল্টি গোলে আবার এগিয়ে যায় আরামবাগ। পল এমিলের বাড়ানো বল ধরে শাহরিয়ার বাপ বক্সে ঢুকলে তাকে ফাউল করেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। পেনাল্টিতে গোল করেন উজিবেকিস্তানের নরমাতোভিজ।
ম্যাচে ফিরতে আবাহনীও বেশি সময় নেয়নি। ম্যান হিয়ক কো’র বাড়ানো বলে মিফিল্ডার সোহেল রানা বক্সের বাইরে থেকে শটে গোল করে বিরতির আগে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান।
গত মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আরামবাগ। এবার ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আরামবাগকে বিদায় করে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ঘরে ফিরলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।