আতিকুর রহমান কাযিন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয়ের জন্য চারতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ১১০ ফুট লম্বা ভবনের প্রথম তলা নির্মাণের জন্য ৭০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয় বলে জানা যায়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যেমে মাঠের পূর্ব দিকে নতুন ভবনের স্থান নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেন। ভবনের জন্য নির্বাচিত জায়গায় নতুন ভবনটি নির্মাণ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠ ছোট হয়ে যাওয়া এবং আলো বাতাস কম আসার কথা বলে এর প্রতিবাদ জানায় এলাকার কতিপয় লোক অভিভাবক।
বর্তমান স্থান পরিবর্তন করে দক্ষিণ পাশে ভবন নির্মাণের দাবি করেন। দক্ষিণ পাশে পুকুর থাকায় সেখানে মাটি ভরাট ও পাইলিং করে ভবন নির্মাণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন ঠিকাদার। পূর্ব নির্ধারিত স্থানেই নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক মো. আব্দুল আওয়াল ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন।
ওই অভিভাবকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নতুন ভবন নির্মাণের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর তারিখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলেন। একই সঙ্গে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কটিয়াদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের চিঠি পেয়ে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ ও উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবিএম নুরুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদী আবদুল আওয়াল বিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী লোক। ইতিপূর্বেও তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেন। আদালতে আমরা বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে ভবনটি নির্মাণের সুবিধাসমূহ তুলে ধরব।
এদিকে মামলার বাদী মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হলে খেলার মাঠ ছোট হয়ে যাবে এবং ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস হতে বঞ্চিত হবে। বিষয়টি আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে তারা কোনো কর্ণপাত না করায় আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।